1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
৭ পৌষ, ১৪৩১
Latest Posts
📰বছরের দীর্ঘতম রাত আজ📰গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন📰সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত 📰সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ‘অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত📰জেলা প্রশাসক কর্তৃক সাংবাদিক উজ্জলের সাথে অশোভন আচরনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ📰আশাশুনির খাজরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখার অভিযোগ📰আশাশুনিতে সুন্দরবন রক্ষায় শিক্ষন ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা📰মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন📰সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন📰আশাশুনিতে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা

শিশু-কিশোররা ঝুকে পড়ছে মোবাইল গেম আসক্তিতে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ৫ মে, ২০২১
  • ৪৫৭ সংবাদটি পড়া হয়েছে

শার্শা (যশোর)প্রতিনিধি: করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরা শহর এমনকি বিভিন্ন উপজেলায় উটতি বয়সী শিশু কিশোর এমনকি তরুণরা স্মার্টফোন আর অনলাইনভিত্তিক নানা গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং হাতের নাগালের মধ্যে থাকা ইন্টারনেটেই এ অবস্থার জন্য দায়ী। বর্তমানে এই মোবাইল গেমে অত্যধিক আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর এবং তরুণরাও।এর তিব্রতা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম গুলোতেও।
সরেজমিন জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কিশোররা বিভিন্ন স্কুল মাঠ,ফাঁকা জায়গা এবং বাজারের অলিতে গলিতে থাকা চায়ের দোকানগুলোতে এক সাথে অনেকে বসে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইলে ভিডিও গেইম খেলছে।
পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত জানান, পোলাপাইন প্রতিদিন আমার দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইলে টিপতে থাকে। ওরা নাকি কি গেম খেলে।
একই এলাকার রাঙা গাজি বলেন এসমস্ত স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা যদি সব সময় এই মোবাইলের গেম খেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তাহলে এদের পড়াশোনা তো হবেই না বরং এরা ভবিষ্যতে ওই মোবাইলের গেমের খেলার টাকা যোগাড় জরার জন্য চুরি ডাকাতির পথ বেছে নিতে হবে।যার দায়ভার বহন করতে হবে তার পিতা মাতার উপর।
প্রসজ্ঞত,ফ্রি-ফায়ার বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইলন গেম। বর্তমানে কয়েকগুণ বেড়েছে এই গেমের জনপ্রিয়তা। মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেম। তবে ফ্রি-ফায়ার কম্পিউটার ভার্সনের থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এটিতে বেশী আসক্তি হয়েছে শিশু কিশোর তরুণরা।
মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং হাতের নাগালের মধ্যে থাকা ইন্টারনেটের কারণেই এই গেমটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বর্তমানে এই গেমে অত্যধিক আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর এবং তরুণরাও।
অন্যান্য ব্যাটেল রয়্যাল গেমের মতোই ফ্রি-ফায়ার অনেক বেশি হিংস্র গেম। এবং এর ভয়াবহতা এতই বেশি যে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষিপ্রতা সৃষ্টি করে এই গেম। অত্যধিক মাত্রায় হিংস্রতা থাকায় ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য এই গেমটি নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত হিংস্রতা শিশু-কিশোরদের মধ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এবং পরবর্তী জীবনে শিশুদের হিংস্র করে তুলতে পারে এই গেম।
সচেতন মহল বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিশু কিশোররা বেশী এ ধরনের কাজে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।তবে এসব গেমে আসক্তির কারণে কিশোররা পারিবারিক, সামাজিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে পড়াশোনায় ও অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। খেলার এক পর্যায়ে এসে তারা ভায়োলেন্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি এটি আলোচিত আরেক ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কেবল শারীরিক ক্ষতির কারণই নয় এই ফ্রি-ফায়ার গেমটি। সেই সাথে মানসিক রোগের কারণও হতে পারে এই গেমটি।
শারীরিক মানসিক রোগের সাথে সাথে এই গেমটি একজন শিশু কিংবা কিশোরের উপর সামাজিক মূল্যবোধের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গেমটি যেহেতু একটি জায়গাতেই আটকে থেকে খেলতে হয় সেহেতু এই গেম খেলা মানুষটি সামাজিকভাবে খুব বেশি সংযুক্ত থাকতে পারে না। আর এই কারণে সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সমাজের আচার ব্যবহার থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে হয় সেই মানুষটিকে। সর্বোপরি একটা সময় একাকীত্ব বরণ করতে হয় তাদেরকে।
এই গেমটি অতিরিক্ত খেলার কারণে চোখের সমস্যাও হতে পারে। আর সেই সাথে দেখা দেয় ঘুমের ঘাটতিও। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর চোখের সমস্যার সাথে সাথে ঘুমেরও ঘাটতিতে পড়ে এই গেম খেলা মানুষগুলি।
অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে খেলা অনলাইন গেম আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় অভিভাবকেরাও সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তাই সচেতনতা বাড়ানো পাশাপাশি বিশেষ করে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd