নিজস্ব প্রতিনিধি: ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি দেওয়ায় আসামীপক্ষের আইনজীবীর আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. এম শাহ আলম ও পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, এ সময় জজ কোর্টের তিন তলায় তার ল. চেম্বারের আসবাবপত্র ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
এ্যাড, রফিকুল ইসলাম ও এ্যাড. গোলাম মোস্তফা জানান, ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন।
Leave a Reply