কলারোয়া পৌর প্রতিনিধি : কলারোয়া পৌর সদরের যুগিবাড়ী সংলগ্ন বেত্রাবতি নদীর ওপর নির্মিত মুরারিকাটি তারক নন্দী কাঠের সেতুটি সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির এমনই অবস্থা যে, ভ্যান চালকদের যাত্রী নামিয়ে আগে সেতুর ভাঙ্গাচুরা পাটাতনের এলোমেলে কাঠগুলো হাত দিয়ে কোনরকম বসিয়ে নিয়ে পার হতে হয় অনেক সময় সেতুটি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হলে ভ্যান মেরামতেই গুনতে হয় কয়েক দিনের মজুরির টাকা। পাটাতনের একটি কাঠের সাথে অন্যটির সংযুক্তি না থাকায় অনেকেই সেতু থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত ও জখমও হয়েছেন। মুরারীকাটির তারকনন্দী পরিবারের সদস্য আনন্দ নন্দী বলেন প্রায় ৭০ বছর আগে মুরারিকাটি গ্রামের তৎকালীন জমিদার তারক নন্দী এলাকার উন্নয়নে বেত্রাবতি নদীর ওপর লোহার ফ্রেম ও কাঠের পাটাতন দিয়ে দক্ষিণ মুরারিকাটি সেতু নির্মাণ করেন। এতে দক্ষিণ মুরারিকাটি, গোপিনাথপুর, পাথরঘাটা, ঘর চালা, কাশিয়াডাঙা, কুমারনল যুগীবাড়িসহ আশপাশের ২০টি গ্রামের মানুষের সাথে কলারোয়া পৌর সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়। সেতুটি ১৯৫৬ সালে ভেঙে গেলে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। পরবর্তীতে এলাকাবাসী কাঠ দিয়ে সেতুটি মেরামত করে কোনোরকমে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে কাঠের পাটাতন উঠে গেছে। লোহার কাঠামোগুলোতে মরিচা পড়ে অংশ বিশেষ খসে পড়ছে। মুরারীকাটি এলাকার অমিত কুমার বলেন, উপজেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানে ও চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। তবে এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। পথচারী শিখা রানী বলেন, সেতুটি একেবারেই নড়বড়ে, চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হাটতে গেলে কাঠগুলো পথচারীদের ঠিক করে নিতে হয়। কয়দিন আগে পাটাতনের কাঠ সরে যাওয়ায় ছোট্ট একটি বাচ্চা নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে। এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কাঠের পরিবর্তে একটি টেকসই পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।
Leave a Reply