সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের জাহিদ গাজীর তৃতীয় শ্রেণির পড়–য়া ৯ বছরের শিশুকন্যা সাহারার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৪ এপ্রিল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাথুয়াডাঙ্গায় জাহিদ গাজীর বাড়ির পাশে বিচুলি ঘর থেকে পরিবারের লোকজন মৃত অবস্থায় সাহারা খাতুনকে উদ্ধার করে দুপুর ২টায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে সেখানে কর্তব্যরত হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটিকে মৃত বলে জানান তিনি আরো বলেন শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গিয়েছিল মৃত শিশুটির মুখে সাদা গেজা তার গলায় বা পায়ে ডান হাতে দাগ ও ফোলা জখম চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কালিগঞ্জ থানার এ এসআই আসিস সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে কালিগঞ্জ হাসপাতালে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে থানায় নিয়ে যায় এসময় কালীগঞ্জ থানার এসআই তৌহিদুর রহমান জানান শিশুটির মৃত্যু স্বাভাবিক নয় ডাক্তারি পরীক্ষা করলে মারা যাওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন হবে। মৃত শিশুটির পিতা জাহিদ গাজী জানান আমি একজন কৃষক আমার তিন কন্যা সন্তান মৃত সাহারা খাতুন বয়স নয় বছর আমার বড় মেয়ে আজ প্রথম রোজা রেখেছিল। বিচুলি ঘরের মধ্যে থেকে পরিবারের লোকজন গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাহাকে উদ্ধার করে সে কিভাবে মারা গেছে আমি জানিনা এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ও গুঞ্জন হত্যা না আত্মহত্যা রহস্য উদঘাটন হোক শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিচুলি ঘর থেকে একটি সাপ দেখা গেছে এমনটিই জানিয়েছে পরিবারের লোকজন কালিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি পোস্ট মাডাম এর প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মৃত শিশুটি মারা যাওয়ার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত নেমেছে। তারালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট হাসপাতলে মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করেন এবং খোঁজখবর নেন পরিবারের লোকজন হাসপাতাল ভিড় করে ডাক্তার বলছে শিশুটির মৃত্যু রহস্যজনক তার গলায় ও হাতে পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে থানা পুলিশ বলছে পোস্ট মডাম করলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন হবে মৃত শিশুটির পিতা জাহিদ গাজী ও পরিবারের লোকজন বলছে মেয়েটির গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল কিভাবে মারা গেছে জানিনা হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে সাধারণ মানুষ চায় আসল রহস্য উদঘাটন হোক এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
Leave a Reply