1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত📰পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি📰জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮
  • ১১১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আমিনা বিলকিস ময়না: ক্রেতা ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় ক্রেতা অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় পরে সাতক্ষীরায় শহিদ আলাউদ্দিন চত্বর থেকে র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহয়োগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারি পরিচালক আব্দুল লতিফ খান।

বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকির হোসেন, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতি’র নূর ইসলাম প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে জনগণের বহুল প্রতিক্ষীত জনবান্ধব আইন ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’মহান সংসদে ২৬নং আইন হিসেবে পাস করে। এই আইনের আওতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সরকারের একটি প্রাধিকার কর্মসূচি। এ আইনের অধীন ২০০৯ সালে আধা বিচারিক সংস্থা হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। মাঠ পর্যায়ে এ আইন বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদাহিতা নিশ্চিত করতে অত্র দপ্তর সদা সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অধিদপ্তর ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিকার ও প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রম ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি গণসচেতনতা বৃদ্ধির্পূবক ভেজাল রোধ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোন পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত সংক্ষুদ্ধ ভোক্তা এ আইনের ধারা ৭৬(১) অধীন এ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়। তবে জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন সবাইকে স্মরণ রাখতে বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে হবে। মানুষকে ঠকালে তাকেও একদিন ঠকতে হবে। পরিমাপে সঠিক ও সঠিক পণ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হবে।

ক্যাব সাতক্ষীরা জেলা কমিটি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, জনগনের আকাংখাকে সামনে ক্যাব দীর্ঘ আন্দোলনের পথ পাড়ি দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ পাস করা হয়। এই আইন দিয়েই বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব। প্রসঙ্গত, মাঠ পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ আইন বাস্থবায়নে জনগণকে দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদাহিতা নিশ্চিত করতে অত্র দপ্তর সদা সচেষ্ট রয়েছে। এ অধিদপ্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সর্বস্তরে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর অধীন বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সিলেট জেলায় মোট ৪০ লক্ষ (চল্লিশ লক্ষ ) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।

প্রাপ্ত অভিযোগ শুনানীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ হিসেবে মোট ২৬ হাজার (ছাব্বিশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে পোস্টার, লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ, একাধিক সেমিনারের আয়োজন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যদায় প্রতিবছর ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করনে ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে নিয়মিতভাবে গণশুণানী ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য জনগণের দোরগোড়ায় সহজে সেবা পৌছানো। এ লক্ষ্যে এ অধিদপ্তর কর্তৃক অন লাইন/মোবাইল এস এম এস/ ফেইসবুক এর মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযোগ দায়েরের জন্য অভিযোগকারী খুব সহজেই িি.িফহপৎঢ়.মড়া.নফ এ ওয়েব সাইট বা ঋধপবনড়ড়শ/ফহপৎঢ় এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। মনে রাখবেন কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য পণ্য প্রস্তুত করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইননুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। মানুষের প্রতি মানুষের যে প্রতিশ্রুতি তা জাগ্রত করতে হবে।

বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ। ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্যে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। ১৯৮৩ সাল থেকে পৃথিবীব্যাপী ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন হয়ে আসছে। ন্যায্য মূল্যের পণ্যে ভোগের অধিকার এবং অভিযোগ করার প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ভোক্তাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন, সতর্ক, দায়িত্বশীল ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। যাতে ক্রেতারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিক্রেতাকে অধিক মূল্য প্রদান না করেন।

খাদ্য, পণ্য ক্রয়ের সময় ওজন ও পরিমাপ সঠিকভাবে বুঝে নেন। পাশাপাশি ক্রেতাদের মিথ্যা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন থেকে সতর্ক থাকেন। এছাড়াও ভেজাল ও নকল খাদ্য, পণ্য বা ওষুধ প্রস্তত এবং ফরমালিনসহ ক্ষতিকর দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যপণ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজারে ৯ হাজার ৮৩১টি অভিযান চালানো হয়েছে।

এসব অভিযানে ৩৭ হাজার ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৭ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা। এরমধ্যে ৩ হাজার ২৪৯ জন অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ হিসেবে ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৭ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী ক্রেতা-ভোক্তা সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক সংস্থা কনজ্যুমারস ইন্টারন্যাশনালের (সিআই) আহ্বানে ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। ১৯৬২ সালের এদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ভোক্তা অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করেন। বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন। ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd