নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় মিথ্যে মামলা জড়িয়ে হয়রানি এবং মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আশাশুনির মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির রাসেল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০০৭ সালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন পদে থেকে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে আমি ছাত্রলীগের আশাশুনি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।
উপজেলার নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আমি এবার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। একই সাথে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ ২০১৩ সালসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের মাঠে দেখা যায়নি তারা উক্ত পদ দখলের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মী আমার পক্ষে থাকায় তারা অসৎ উদ্দেশ্যে সফল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে জামায়াত -শিবির বানানো চেষ্টা করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি যাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি না হতে পারি সে জন্য গত ২ মাস আগে ওই কুচক্রী মহলটি আমার পিতা আব্দুল আজিজকে একটি মিথ্যা নাশকতার মামলার আসামি করায়। অথচ আমার পিতা প্রায় ১২ বছর ধরে ঢাকার একটি কোম্পানি চাকুরি করেন।
এই মিথ্যা মামলাকে পুজি করে ওই কুচক্রী মহলটি আমাকে জামায়াত-শিবির পরিবারের সদস্য বানিয়ে সম্পূর্ন মিথ্যো ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, যারা আমাকে জামায়ত-শিবির বানানোর চেষ্টা করছেন প্রকৃতপক্ষে তারাই স্বাধীনতার বিরোধী পরিবারের সন্তান। তাদের পূর্ব পুরুষেরা ৭১’র পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত ছিলো।
অনেকেরই বাবা, দাদাদের নাম যুদ্ধাপরাধীর তালিকা রয়েছে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে জামায়াতের প্রার্থীকে সোনার দাঁড়ীপাল্লা উপহার দেওয়ারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি তার নিজের ও পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সদর ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকী বাচচু, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মো. মুজিবর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম নবু, মো. পলাশ, কামনাশীষ, মো. গোলাম মোস্তফা পারভেজসহ শতাধিক ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply