1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
৯ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন📰ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা📰আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬  শিক্ষককে এডহক নিয়োগ📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনির খাজরা হাট বাজারের  ইজারা গ্রহিতার সাব ইজারা হস্তান্তর📰সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

আজ পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২০৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আব্দুল্লাহ: আজ ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তিÍ। মকর সংক্রান্তির দিন দান, স্নান ও সূর্য আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন সূর্যকে লাল বস্ত্র, গম, গুড়, মুসুর ডাল, তামা, সোনা, সুপুরি, লাল ফুল, নারকেল, দক্ষিণা ইত্যাদি অর্পণ করা উচিত। মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যকালে দান করলে অক্ষয় ফল ও পুণ্য লাভ হয়।শাস্ত্র মতে, সূর্য যখন দক্ষিণায়নে থাকেন, তখন সেই ৬ মাস দেবতাদের রাত ও উত্তরায়ণের ৬ মাস দেবতাদের দিন হিসেবে বিবেচ্য। দক্ষিণায়নকে অন্ধকার ও অশুভ প্রতীক মনে করা হয়। আবার উত্তরায়ণ শুভ এবং প্রকাশের প্রতীক। উত্তরায়ণের গুরুত্ব বর্ণনা করে কৃষ্ণ গীতার অষ্টম অধ্যায় বলেছেন, ৬ মাস যখন ভাস্কর দেব উত্তরায়ণে থাকেন, তখন পৃথিবী আলোকিত হয়। এই প্রকাশের মধ্যে দেহত্যাগ করলে ব্যক্তির পুনর্জন্ম হয় না এবং সে ব্রহ্ম লাভ করে। অন্যদিকে সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় দেহত্যাগ করার ফলে ব্যক্তির পুনর্জন্ম হয়। মকর সংক্রান্তির দিনে যজ্ঞের আহুতি গ্রহণের জন্য দেবতা স্বয়ং মর্ত্যে আসেন। তখন এই পথেই প্ণ্যুাত্মারা শরীর ত্যাগ করে স্বর্গলোকে প্রবেশ করেন।এদিন সূর্য শনির সঙ্গে দেখা করতে স্বয়ং তাঁর গৃহে প্রবেশ করেন। শনি মকর রাশির অধিপতি হওয়ায়, সূর্যের প্রভাবের ফলে শনি দুর্বল হয়ে পড়ে। মকর সংক্রান্তির দিনে সূর্য-শনির সাধনা ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত দানরে ফলে শনিজনিত দোষ দূর হয়।আবার মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে, মকর সংক্রান্তির দিনই বিষ্ণুর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ থেকে নির্গত গঙ্গা ভগীরথের পিছন পিছন কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছন। কপিল মুনির আশ্রম থেকেই সাগরে মিশে যান গঙ্গা। সে সময় গঙ্গা ভগীরথের পূর্বপুরুষ মহারাজ সগরের পুত্রদের মুক্তি প্রদান করেন। তাই গঙ্গা ও গঙ্গাসাগরে স্নানের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার অন্য এক পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, পিতামহ ভীষ্ম মহাভারত যুদ্ধ শেষে সূর্যের উত্তরায়ণের অপেক্ষা করেন ও মকর সংক্রান্তিতে প্রাণ ত্যাগ করেন। এ-ও মনে করা হয় যে, কৃষ্ণকে সন্তান রূপে পাওয়ার জন্য যশোদা এ দিন উপবাস করেছিলেন। পদ্মপুরাণ অনুযায়ী উত্তরায়ণ বা দক্ষিণায়ন শুরুর সময় যে পুণ্য কর্ম করা হয়, তা অক্ষয় হয়। মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যোদয়ের পূর্বে স্নান করা উচিত। এমন করলে ১০ হাজার গৌদানের সমান ফল লাভ হয়। এ সময়ের তর্পণ, দান ও দেব আরাধনা অক্ষয় হয়। এ সময় যে কোনও তীর্থ, নদী বা সমুদ্রে স্নান করে দান-পুণ্য করে কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে প্রয়াগরাজ সঙ্গমে স্নানের ফলে মোক্ষ লাভ সম্ভব।দেশ জুড়ে নানা ভাবে নানা নামে মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়। আরাধনা করা হয় কোথাও লক্ষ্মীর, কোথাও বা সূর্যের, কোথাও বা পূজিত হন । কিন্তু পূজা বা প্রসাদের উপকরণ মূলত এক – নতুন ফসল। আমাদের এই উৎসব পৌষ সংক্রান্তি, পৌষপার্বণ বা নবান্ন। বাঙালির কাছে এই উৎসব মূলত নতুন ফসলের। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ধান, নতুন অন্ন। তাই এই উৎসব বাঙালির কাছে ‘নবান্ন’। পৌষ সংক্রান্তি শস্যোৎসব। ক্ষেতের পাকা ধান প্রথম ঘরে ওঠা উপলক্ষে পালিত হয় এই উৎসব। পাকা ধানের শিস এনে নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। দু’-তিনটি খড় এক সঙ্গে লম্বা করে পাকিয়ে তার সঙ্গে ধানের শিস, মুলোর ফুল, সরষে ফুল, আমপাতা ইত্যাদি বেঁধে ‘আউনি বাউনি’ তৈরি করা হয়। এই ‘আউনি বাউনি’ ধানের গোলা, খড়ের চাল, ঢেঁকি, বাক্স-প্যাঁটরায় গুঁজে দেওয়া হয়।বাংলায় পৌষপার্বণের প্রধান অঙ্গ হল পিঠে খাওয়া। এই সময়ে নতুন ধানের পাশাপাশি বাংলার গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছে রস আসে, তৈরি হয় নতুন গুড়, খেজুর গুড়। তাই নতুন চালের গুঁড়ো, নতুন গুড়, নারকেল আর দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পিঠে। তাই পৌষপার্বণের আরেক নাম পিঠেপার্বণ।আমাদের দেশে, বিশেষ করে ঢাকায়, পৌষ সংক্রান্তির দিন পালিত হয় সাকরাইন উৎসব। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বহু জায়গাতেই পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ আছে।এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয় নানা রকম খাবার। সংক্রান্তির দিনে বাংলার প্রতিটি ঘরেই গৃহিণীরা নতুন চালের বিভিন্ন নকশা ও সুস্বাদু পিঠে তৈরি করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd