জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন লাবসা। কিছুদিন পরই ঘোষণা হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফশিল। সাড়ে বিশ বর্গকিলোমিটার ও ৩৩ হাজার ভোটারের এ ইউনিয়নে এখনও নির্বাচনী আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। ভোটারদের মধ্যে এখন থেকেই চলছে নানা ধরনের হিসাব-নিকেশ। পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জবাব দিবেন আগামী নির্বাচনে।
১৩নং লাবসা ইউনিয়ন একটি মডেল ইউনিয়ন হওয়ার মত হলেও দীর্ঘদিন হয়নি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড লাবসা পরিলক্ষিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এ ইউনিয়নে আছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টেক্সটাইল মিল, বিডিআর ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন ভবন, পরমানু গবেষণা ইন্সটিটিউট, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, টিটিসি, বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন বে-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ইউনিয়টিতে যেমন শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি, তেমনি চাকুরীজীবীদের সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়াও ইউনিয়নের কিছু অঞ্চল বর্ষমৌসুমে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ায় এখানকার কৃষক ও মৎস খামারীরা বর্ষ মৌসুমে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
ইউনিয়নে ৪টি ক্রীড়া সংগঠন লাবসা একাদশ ক্লাব, রাজনগর জাগরণী চক্র ক্লাব, থানাঘাটা একাদশ ক্লাব এবং মাগুরা দাশপাড়া ব্যাডমিন্টন ক্লাব। এ ইউনিয়নে ১টি কলেজ ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। লাবসা ইউনিয়নে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে রয়েছে ঋশিল্পী গোষ্ঠী, সিন্দাবাদ শিল্পী গোষ্ঠী এবং বিনেরপোতা নাট্য শিল্পী গোষ্ঠী; এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও সমুহ মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাটিকা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি উৎযাপন করে থাকে।
এ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে ষোষণা দিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে সাত বারের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, বর্তমান ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম কিবরিয়া বাবু ও একাধিকবারের প্রার্থী সরদার নজরুল ইসলাম। এছাড়াও বর্তমান ইউপি সদস্যরা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। তবে এখনও পর্যন্ত সদস্য পদে নতুন মুখ খুব বেশি দেখা যায়নি। নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার কিছু আগে থেকে প্রতিদ্বন্দিদের মাঠে দেখা যেতে পারে।
Leave a Reply