ইছামতির ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ভাঁতশালা মহাশ্মশান

স্টাফ রিপোর্টার: ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে ক্রমশ বিলীন হতে বসেছে দেবহাটার ভাতশালা বাজার মহাশ্মশানটি। প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে শ্মশানের জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে একসময় মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সমুহ শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাতশালা বাজার ও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন অবস্থিত মহাশ্মশানটি নদী পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় ধীরে ধীরে তা ধ্বসে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঐ শ্মশান মন্দিরের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন লেগে থাকে। প্রতিবছর এসব ভাঙ্গন রোধে সরকারের বহু টাকা ব্যায় হলেও স্থায়ী কোন সমাধান হয় না। যে কারণে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আতংকে নিয়ে জীবন যাপন করেন সীমান্ত পাড়ের মানুষেরা। একদিকে সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছেন। অন্যদিকে অস্বাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনফার আশায় তাদের খেয়াল খুঁশি মত নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারের মহৎ উদ্যোগকে স্লান করে চলেছে। সাম্প্রতিক এর ফলে ইছামতি নদীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ফলজ-বনজ বৃক্ষের বাগান, ফসলী জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শতশত ঘর-বাড়ীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখিন হতে হয়।
ভাতশালা গ্রামের গোপাল বিশ্বাস জানান, তাদের শত বছরের ঐতিহ্য শ্মশান কালী মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি, সাপ্তাহিক আরাধনা, বার্ষিক কালী পুজা, মৃত মানুষের সৎকার করা হয়। যুগযুগ ধরে তাদের এই কর্মকান্ড চলে আসছে। এখানে ভাতশালা, রহিমপুর, ঘলঘলিয়া, রতেœশ্বরপুর, পাঁচপোতা সহ আশে পাশের এলাকার মানুষ পুজা দিতে এবং তাদের শেষ কার্য সম্পন্ন করতে আসেন এই শ্মশান মন্দিরে। কিন্তু নদী ভাঙ্গনে তাদের এই কর্মকান্ড হুমকিতে ফেলেছে। দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
ভাতশালা মহাশ্মাশন কালী মন্দিরের সভাপতি রমেশ দত্ত জানান, তাদের পূর্ব পুরুষের সুত্র ধরে তারা এই স্থানটিতে ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন করে আসছেন। পূর্বে প্রায় ২ বিঘা জমি নিয়ে মন্দিরটি গড়ে তোলা হলেও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে বর্তমানে ১০শতকের মত জমিতে দাড়িয়ে আছে মন্দিরটি। তাই নদীর বাধ রক্ষায় আরসিসি ব্লক স্থাপন করে তাদের এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *