সংবাদদাতা: কলারোয়ায় একটি বিরোধ পূর্ন রাস্তা পূর্ন উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসীর দেওয়া দরখাস্তের তদন্তে আসলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এমএম মাহমুদুর রহমান। তিনি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কলারোয়া পৌর বাজারের আলি ষ্টোরের সামনের রাস্তায় সরেজমিনে তদন্তে আসেন। এলাকাবাসীরা জানান-দীর্ঘ ৯০ বছর পূর্বের সরকারী খাস ১নং খতিয়ানের রাস্তাটি একটি চক্র জাল জালিয়াতি করে নিজেদের নামে রেকর্ড নিয়ে দখল করে রেখেছে। যা ওই এলাকার প্রায় ৩০/৩৫টি বসত বাড়ীর লোকজনের যাতায়াতের দারুন ভাবে সমস্যা হচ্ছে। এমনকি ওই চক্রটি সরকারী রাস্তার জায়গা দখল করে একটি দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়ে টাকা উত্তলন করে চলেছে। এবিষয়ে ওই এলাকার বসবাসকারী হাবিল হোসেন জানান, ঝিকরা মৌজার সাবেক ৩২ দাগ হাল ৯১৫২দাগের জমিতে রাস্তা উল্লেখ্য রয়েছে। যা ওই এলাকার বসবাসরত মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। কিন্তু ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের রজব আলীর সরদারের ছেলে ছলেমান ও শুকচাদের স্ত্রী রাহেলা খাতুন অবৈধভাবে ওই পথের উপর একটি দোকান ঘর করায় দারুন ভাবে বসবাসরত মানুষের চলাচলে ক্ষতি হচ্ছে। সেখানে বসবাসরত মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে এ্যাম্বুলেন্স ঢোকেনা, ভ্যান গাড়ী ঢোকেনা এমনকি একটি বাইসাইকেলও নিয়ে যেতে পারে না। এসকল ঘটনা উল্লেখ্য করে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সরকারী ১নং খাস খতিয়ানের রাস্তাটি পূর্ন উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কলারোয়া পৌর বাজারের আলি ষ্টোরের সামনের রাস্তায় সরেজমিনে তদন্তে আসেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এমএম মাহমুদুর রহমান। এসময় তিনি ওই রাস্তার উপরে দোকান ঘর দেখে উভয় পক্ষকে নোর্টিস এর মাধ্যমে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টি সামাধানের জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আক্তার হোসেনকে নির্দেশ দেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আক্তার হোসেন, সদর সার্ভেয়ার সজল হোসেন সহ অন্যন্যে কর্মকর্তারা।
Leave a Reply