সরোয়ার হোসেন: সদর উপজেলার কদমতলা বাজারসহ আবাদের হাট বাজার, বাঁশদহা বাজার, ঝাউডাঙ্গা বাজার এলাকার বই বিক্রেতারা ভাল নেই। বিশ্বজুড়ে করোনার থাবায় বাংলাদেশেও স্কুল, কলেজগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আর এ বন্ধ থাকায় বই বিক্রেতাদের বই ব্যবসায় নেমেছে ধস। দীর্ঘ আট থেকে দশ মাস স্কুল কলেজ মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নেই কোন বই বিক্রয়, নেই খাতাকলমসহ স্টেশনারী দ্রব্যাদি বিক্রয়। দোকান ঘর খোলা আর বন্ধ করা ছাড়া নেই কোন তাদের কাজ। কদমতলা বাজারের ন্যাশনাল বুক ডিপোর স্বত্বাধীকারী আব্দুল আলিম বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল কলেজগুলো বন্ধ থাকায় দোকানে নেই কোন বেচা-বিক্রী, বাড়ি থেকে আসা ও যাওয়া ছাড়া নেই কোন গতি। তাই খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি। এদিকে হতাশার প্রহর গুনে দিন যাপন করছেন বই বিক্রেতারা। অপেক্ষায় আছে কবে স্কুল কলেজগুলো আগের ন্যায় চলবে এই আশায়। অপেক্ষা আর অপেক্ষা। আবাদের হাট বাজারের জ্ঞান তীর্থ লাইব্রেরীর জ্ঞান তীর্থ রায় প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান তার হতাশার কথা। তিনিও একই কথা জানান, দোকানে আসা-যাওয়া ছাড়া নেই কোন কাজ, নেই কোন বিক্রী ও। তিনি আরও জানান, ব্র্যাক থেকে লোন নিয়েছেন তিনি, লোনের কিস্তী পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। কখনও কখনও অন্যের কাছ থেকে ধার/ঋন নিয়ে কিস্তি পরিশোদ করতে হয়। কখনও কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় কটু কথা শুনতে হয় তাকে। বাঁশদহা বাজারের বই ব্যবসায়ী নুর আলী মাষ্টার বলেন, দোকান খুলে কি হবে নাই কোন বিক্রী, তাই বাড়িতে অলস সময় পার করছি। ব্যবসায় নাজুক অবস্থা। এদিকে বই ব্যবসা না থাকায় তাদের সংসারেও টানাপোড়েন অবস্থা, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বই ব্যবসা না থাকায় সংসার এবং ব্যবসায়িক ভাবনা তাদের দুঃচিন্তায় পরিণত হয়েছে। মানসিক চিন্তা আর হতাশা বিরাজ করছে তাদের মাঝে। ব্যবসা এখনও সচল না হওয়ায় হতাশা অপেক্ষার পালা বেড়েই চলেছে। তবে তাদের কথা ভাবে না কেউ, তবে ভাবতে হবে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে, শোনাতে হবে শান্তনার বানী, অপেক্ষার পালা বদল হবেই।
Leave a Reply