বিবিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, তিনি ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন, অর্থাৎ তিনি জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যদিও তা নির্ভর করবে আইনগত চ্যালেঞ্জের ফলাফলের ওপর।
ভোটের ফলাফলের হিসাবে পেনসিলভেনিয়ায় জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় জেতার মাধ্যমে বাইডেন সেখানকার ২০টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেলেন। এর ফলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ভোট তিনি ছাড়িয়ে গেলেন।
পেনসিলভেনিয়া সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ভোটগণনা এখনো চলছে। এগুলোর মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা এবং নেভাডাতে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ফলে এই তিনটি রাজ্যে তিনি জিতলে তিনি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে আরো বেশি ভোট পেয়ে যাবেন। এই ভোটগুলো পেলে তার ঝুলিতে যাবে ৩০৬টি ভোট।
বাইডেনের বিজয়ের খবর জানাজানি হওয়ার পর রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিএলএম প্লাজায় উল্লসিত লোকজন ‘ঈশ্বরকে প্রশংসা, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নিয়েছেন’ বলে গান গাইতে দেখা যায়।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
সিএনএন জানাচ্ছে, জো বাইডেন বিজয়ের খবর প্রকাশের কয়েক মুহূর্ত পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বাইডেন মিথ্যে জয়ের ভাব ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন”, এবং “ভোটযুদ্ধ এখনো শেষ হবার অনেক বাকি।”
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের আইনী যুদ্ধ সোমবার থেকে শুরু হবে।
ট্রাম্প তার বিবৃতিতে সঠিকভাবেই বলেন যে ভোটগণনার ফলগুলো এখনো নির্বাচনী কর্মকর্তারা প্রত্যয়ন করেননি এবং এগুলো আসলে সংবাদমাধ্যমের পূর্বাভাস মাত্র।
অন্যদিকে কিছু সময় আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ফিলাডেলফিয়াতে আজই স্থানীয় সময় বিকেল সারে ৪টায় একটা বড় সংবাদ সম্মেলন হবে।
রেকর্ডসংখ্যক পপুলার ভোট
বাইডেন রেকর্ডসংখ্যক পপুলার ভোট বা সাধারণ মানুষের ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে যে পরিমাণ মানুষ ভোট দিয়েছেন ১৯০০ সালের পর আমেরিকার কোনো নির্বাচনে এতো মানুষ ভোট দেননি।
বাইডেন এখন পর্যন্ত পপুলার ভোট পেয়েছেন সাত কোটি ৩০ লাখের বেশি। আমেরিকায় আর কোনো প্রেসিডেন্ট এতো মানুষের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হননি।
ট্রাম্প পেয়েছেন প্রায় সাত কোটি ভোট। সেটাও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply