অনলাইন ডেস্ক ॥ মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা স্থগিত চেয়ে ট্রাম্প প্রচার দলের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
ওই রাজ্যের ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্ট আপিলস কোর্টের বিচারক সিনথিয়া স্টিভেন্স বলছেন, মামলাটি দায়ের হতে অনেক দেরি হয়েছে, কারণ গণনা শেষ হতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিনি বলেন, মামলায় ভুল কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করার আইনগত ক্ষমতা রাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেটের নেই বলে তিনি জানান।
প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী প্রচার কর্মকর্তারা যুক্তি দেন যে গণনার সময় রিপাবলিকান পর্যবেক্ষকদের হাজির থাকা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কারচুপির ঘটনা ঘটেছে এবার। বুধবার এভাবেই ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাখ্যা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনটি রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতেও গেছেন তিনি। এ নিয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচানা।
যেমনটা ঘটেছিল ২০০০ সালে। ওই বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর। সে বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বুশের নতুন করে ভোট গণনার আবেদনে সাড়া দিয়েছিল এবং পুনর্গণনার আদেশ দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বুশের দাবি ছিল স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট।
যে পরিস্থিতির মধ্যে ভোট পুনরায় গণনার আবেদন জানানো হয়েছিল, তারও একটি নির্দিষ্ট ভিত্তি ছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্পের আবেদনের কোনো ভিত্তি নেই। যেভাবে তিনি পোস্টাল ব্যালটের বিরোধিতা করছেন, আইনের দিক থেকে তার কোনো ভিত্তি নেই।
মিশিগান, পেনসিলভানিয়া নিয়ে আদালতে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে কি না, এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব আইন আছে। পোস্টাল ব্যালট বিষয়েও আছে নির্দিষ্ট নিয়ম। বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই ধারণা, সেই নিয়ম মেনেই পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছে। বস্তুত সে কারণে এ বছর ভোট গণনা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে। করোনার কারণে রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটে ভোট হয়েছে এবার।
এদিকে গার্ডিয়ান ও এপির খবরে বলা হয়েছে, ‘হোয়াইট হাউস’ দখলের দিকে আরও খানিকটা এগিয়ে গেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত জো বাইডেনের দখলে রয়েছে ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। সেখানে ট্রাম্পের ঝুলিতে ২১৪টি। প্রেসিডেন্ট হতে দরকার ২৭০ ভোট। সেদিক বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন অনেকটাই এগিয়ে গেছেন।
Leave a Reply