1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
১৪ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
  • ১১৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

জহুরুল কবীর: কলারোয়ার চার খুনের রহস্য উদঘাটন, ভাই রায়হানুলের স্বীকারোক্তি , সিআইডির প্রেস ব্রিফিং‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারে সংঘটিত চার খুন ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটিত হয়েছে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান ‘ নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একাই এহ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে’।বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরাস্থ সিআইডির জেলা অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির খুলনাস্থ অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য তাকে হাজির করা গেল না।জনাকীর্ন প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন রায়হানুল তার ভাই শাহিনুর , ভাবী সাবিনা খাতুন এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাহি ও তাসনিম সুলতানাকে একাই বাড়ির ধারালো চাপাতি দিয়ে জবাই করেছে। এর আগে সে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ ডিসোপেন ২ ও এনার্জি ড্রিংক কিনে আনে। ১৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে সে তার দুই শিশু ভাতিজা, ভাতিজি এবং ভাবীকে ওষুধ মেশানো এই ড্রিংক খাওয়ায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার ভাই শাহিনুর মাছের ঘের থেকে বাড়ি এলে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়। রায়হানুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান ‘সে নিজে ঘরের ছাদের কার্নিশ বেয়ে উপরে উঠে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে তার ভাই শাহিনুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে হাতের রগ কেটে পায়ে রশি বেঁধে দেয় । এরপরই সে পাশের কক্ষে ভাবী সাবিনাকে জবাই করে হত্যা করে। তার চিৎকারে শিশুরা জেগে গেলে সে তাদেরকেও এইভাবে জবাই করে। সে সিআইডিকে জানিয়েছে ‘তার ওপর শয়তান ভর করেছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিশু দুটিকে হত্যা করে’। খালি গায়ে হত্যার পর সে রক্তমাখা তোয়ালে ও চাপাতি মাছের ঘেরে ফেলে দেয়। পরে ঘের থেকে তার দেখানো মতে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।কেনো সে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার জবাবে রায়হানুলের বরাতে সিআইডি অফিসার জানান রায়হানুল একজন বেকার মানুষ। ৯/১০ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে ভাইয়ের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। নিজে কোনো কাজ করেনা খরচও দেয়না এসব কারণে প্রায়ই ভাই ভাবীর সাথে তার ঝগড়া হতো। তারা তাকে গালাগাল দিতো। রায়হানুলের জবানবন্দির বরাতে তিনি আরও জানান ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাবীর সাথে তার একই বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। ভাবী তাকে বকাবকি করেন। পরে সে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় ভাবী ও তার দুই সন্তানকে। এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে’।রায়হানুল আরও জানিয়েছে ‘রাত দেড়টার দিকে সে ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় তার ভাই শাহিনুর ঘের থেকে এসে তাকে বকাবকি করে বলেন এতো টিভি দেখিস, বিদ্যুতের বিল দেবে কে’। এ নিয়ে তাকে খানিকটা বকেনও শাহিনুর। রায়হানুল তাকে জানায় ‘ তুমি মাথা ঠান্ডা করো , এবারের বিদ্যুত বিল আমি দিয়ে দেবো।এই বলে সে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় । পরে শাহিনুরও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সে এক এক করে তাদের খুন করে। সিআইডি কর্মকর্তা ১০ মিনিটেরও বেশি সময়ের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন হত্যার সময় রায়নুলের সাথে আর কেউ ছিল না। কেবলমাত্র ভাই ভাবীর বকাবকির কারণেই সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে সিআইডিকে। রিমান্ডে থাকা রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য যে গত ১৪ অক্টোবর রাতে কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সেদিনই পুলিশ ঘাতক ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd