1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
১৪ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

দেবহাটায় কৃষি বিভাগের সহায়তায় দুগ্ধ খামার ও চাষাবাদে স্বাবলম্বী হয়েছে প্রতিবন্ধী মেহেদী

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৬১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘলঘলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী। বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সংসারের বড় ছেলে সে। জন্ম থেকেই মেহেদী সম্পূর্ন বাকপ্রতিবন্ধী এবং চল্লিশ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী।
মেহেদী জন্মের পর কখনো কথা বলতে পারেনি, একই সাথে সম্ভবত পুষ্টিহীনতার কারনে তার রয়েছে শারিরীক প্রতিবন্ধকতা। চলাফেরা করতে গেলেই সারা শরীর কাঁপতে থাকে মেহেদীর। প্রতিবন্ধী হওয়ার জন্য মেহেদী গত দুবছর আগেও মেহেদী তার পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে ছিল। সহায় সম্বল বলতে বসতভিটা এবং মৎস্য চাষযোগ্য ছোট্ট একটি ঘের ছাড়া তেমন কিছুই ছিলোনা মেহেদীর পরিবারের।
বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেহেদীকে নিয়ে তার পরিবার যখন সীমাহীন দুশ্চিন্তায় ভুগছিল ঠিক সেই সময়ে মেহেদীকে বুকে টেনে নেন দেবহাটার উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ।
তিনি মেহেদীকে স্বাবলম্বী করে তুলে একটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে গত দুই বছর ধরে নিরালস পরিশ্রম করে আসছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি একের পর এক প্রশিক্ষণ দিয়ে একজন দক্ষ দুগ্ধ খামারী এবং সফল সবজি ও মৎস্য চাষী হিসেবে মেহেদীকে গড়ে তুলেছেন। সঠিক উপায়ে কিভাবে মৎস্য ও সবজি চাষ এবং দুগ্ধ খামারের পরিচর্যা করতে হয়, তাও মোস্তাক আহমেদ নিজেই শিখিয়েছেন মেহেদীকে।
দীর্ঘ দু’বছর অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদের উদ্যোগটি সফলতা পেয়েছে। প্রতিবন্ধী মেহেদী এখন তাদের মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ এবং একই সাথে ঘেরের ভেড়ি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনাতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছে। সে এখন একজন দক্ষ কৃষক।
ঘেরে মাছের খাদ্য দেওয়া, সবজির পরিচর্যাসহ যাবতীয় কাজ নিজে হাতেই করছে মেহেদী। পরিবারের দারিদ্রতা লাঘবের জন্য বাড়ীতেই স্বল্প পরিসরে একটি দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছে সে। ওই খামারে বাচ্চাসহ একটি গাভীও রয়েছে মেহেদীর।
গাভীর জন্য নিয়মিত ঘাস ও খড় কাটা, এমনকি গাভীর পরিচর্যা থেকে শুরু করে দুধ দোহনের যাবতীয় কাজ অনায়েসেই করছে মেহেদী।
উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ তার পাশে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের মাধ্যমে একের পর এক প্রশিক্ষন দেয়ার জন্য আজ মেহেদীতে একজন দক্ষ সবজি ও মৎস্য চাষী এবং দুগ্ধ খামারী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে জানান মেহেদীর বাবা আবুল কাশেমসহ পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিবন্ধী হওয়া স্বত্ত্বেও কেবলমাত্র মানুষের ইচ্ছা শক্তি এবং প্রচেষ্টা থাকলেই যে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেবহাটার মেহেদী। সে এখন স্বাবলম্বী। সে আজ আর পরিবারেরও বোঝা নয়, সমাজেও বোঝা নয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd