সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভার বদ্দিপুর, কাটিয়া মাঠপাড়া, রসুলপুর ও ইটাগাছা পশ্চিমপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। সভায় বলা হয়, প্রতিবছরই এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং তা ক্রমেই বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে। এবছর পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এইসব এলাকায় অনেকের ঘরের মধ্যেই দীর্ঘদিন পানি রয়েছে। মানুষের রান্না-খাওয়া, পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এমনকি বদ্দিপুর এলাকায় মৃত মানুষের দাফন-কাফনেরও কোন জায়গা নেই।
জেলা নাগরিক কমিটির সভায় আরো বলা হয়, পরিস্থিতির নিরসনে অন্য বছর পৌরসভা, জেলা প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষের কিছু উদ্যোগ পরিলক্ষিত হলেও এবার তাও অনুপুস্থিত। ফলে মানুষের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা অপসারণ ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে যেসমস্থ মাছের ঘের গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ, তাৎক্ষণিক পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বদ্দিপুর, কাটিয়া মাঠপাড়া, রসুলপুর, মাগুরা বৌবাজারসহ অন্যান্য এলাকায় স্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়।
সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন ও জলাবদ্ধতা কবলিত উপকূলীয় এলাকা রক্ষার জন্য পৃথক বোর্ড গঠনসহ জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবী আদায়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থানসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মরকলিপি পেশের কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণনির্ধারণ করা হয় এবং গণস্বাক্ষরসহ উক্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরেরর মানুষের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জিএম মনিরুজ্জামান, অপারেশ পাল, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কমরেড আবুল হোসেন, মুনসুর রহমান, কওসার আলী, আব্দুস সামাদ, আলী নুর খান বাবলু, সুরেশ পান্ডে, আসাদুজ্জামান লাভলু, অধ্যাপক তপন কুমার শীল, মোশারফ হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. আব্দুর রশিদ. লুৎফর রহমান, মো. হোসেন আলী, আলমগীর হোসেন মনু, রবিউল ইসলাম, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
Leave a Reply