আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে জেলা পশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিভাবক মোঃ আওছাফুর রহমান ও এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমান ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগে বলেছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ১২/৮/১৯ তাং হতে শূণ্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বারিক খান জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগসাজস করে গোপনে বিদ্যালয় কার্যকরী কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করার পায়তারা শুরু করেছেন। তারা প্রথমে বড়দল কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তরুন কান্তি সানার নিকট থেকে ৪/৫ মাস ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দানের চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু পরবর্তীতে দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাসের নিকট থেকে ১৭ লক্ষ টাকা গ্রহন করে বেশী টাকার লোভে তাকে নিয়োগ দানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এমন অভিযোগ করে অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে যথাযথ ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ না করে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়ে স্কুলটিকে ধ্বংস করার পায়াতার করা হচ্ছে। এনিয়ে স্কুলের অভিভাবকমহলসহ এলাকাবাসী ফুসে উঠেছেন। তারা নিয়োগ বাণিজ্য প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জন প্রতিনিধিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলে আবেদনকারীরা জানান। এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগের কথা শুনেছি। যতদুর জানি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষ্ঠু ও যথাযথ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে পরীক্ষা নিরপেক্ষ ও বিধিমোতাবেক অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর। দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলি বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যর বিষয়টি এখন এলাকায় ওপেন হয়ে গেছে। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদক, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিবকে অনুলিপি প্রদান ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও যদি নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ না হয় এবং নিয়ম অমান্য করে তঞ্চকীপূর্ণ নিয়োগের চেষ্টা রোধ না হয় সেটি হতবাক জনক। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply