জিয়াউল হক মুক্তা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর জাসদের বর্তমান সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ট্যাংকের উপর ওঠে নেচে উল্লাস করেছিলেন— এ প্রচারণার শুরু হয়েছিল জামাত-শিবিরের ‘বাঁশেরকেল্লা’ নামের ফেইসবুক পেইজ থেকে; এজন্য বাঁশেরকেল্লা একটি ট্যাংকের উপর কালো শার্ট-প্যান্ট পরিহিত গোঁফওয়ালা একজন সৈনিকের ছবির মুখমণ্ডল গোল দাগ দিয়ে ফটোশপে একটি তীর চিহ্ন এঁকে তীরের পেছনে হাসানুল হক ইনুর বর্তমান সময়ের একটি ছবি যোগ করে বাজারে ছেড়েছিল; একই ছবির দ্বিতীয় ম্যানিপুলেশনে তীর চিহ্ন ছিল না— সৈনিকের মুখমণ্ডল গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে উপরের দিকে একটি বক্সে হাসানুল হক ইনুর বর্তমান সময়ের ছবি যোগ করা হয়েছে। বাঁশেরকেল্লার এ ফটোশপ-ম্যানুফ্যাকচার্ড বা ফটোশপ-ম্যানিপুলেটেড ছবি ও/বা বক্তব্য ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিল শত্রুপক্ষের অনেক ইতর ও মিত্রপক্ষের অনেক আহাম্মকের দল। বিষয়টি আলোচনা করা যাক।
এক.
বাঁশেরকেল্লা প্রকাশিত ছবিটির প্রচারকারী গণশত্রুরা ও অন্যদিকে আহাম্মকেরা বঙ্গবন্ধু-হত্যা বিষয়ে একটি বিকৃত অথচ শক্তিশালী রাজনৈতিক মত তৈরি ও প্রকাশ করে চলেছে এখনও পর্যন্ত— আর তা হলো, বঙ্গবন্ধু-হত্যার পর দেশে উল্লাস হয়েছিল। কিন্তু আদতে তা নয়; হত্যাকাণ্ডের পর দেশে ছিল থমথমে ভাব; সামরিক আইন জারি ছিল; কারফিউ জারি ছিল; জনগণ নিজ গৃহে অবরুদ্ধ ছিলেন; জনগণের কোন সংগঠিত প্রতিবাদ হয়নি সত্য, কিন্তু জনগণ তাতে উল্লাসও করেননি। জাতীয়-আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় এরকম কোন উল্লাসের খবর বা ছবিও কোনোদিন প্রকাশিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু-হত্যার মধ্য দিয়ে কোন ধরনের ভীতি তৈরি ও প্রচার করা হয়েছিল তা মেজর ডালিমের বেতার-বক্তব্যে খুব পরিষ্কারভাবে শোনা যায়; বর্তমানে ইউটিউবে সহজলভ্য অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ বক্তব্যের এক অংশে ডালিম বলছেন, “বাংলাদেশ পুলিশ, বিডিআর ও রক্ষীবাহিনীর সিপাহী ভাইগণ, আপনারা সবাই সেনা বাহিনীর সঙ্গে যোগদান ও সহযোগিতা করুন। যাহারা অসহযোগিতা করিবেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থের খাতিরে তাহাদের চরম দণ্ড দেওয়া হইবে।” অপরাপর বাহিনীগুলোকে সেনা বাহিনীর দেয়া এ হুমকি সাধারণ নাগরিকদের মনে কী প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে তা খুব সহজেই অনুমেয়।
দুই.
খুনি মেজর রশীদ-ফারুকরা ট্যাংক নিয়ে বেরিয়েছিল রাতে; বাঁশেরকেল্লা প্রকাশিত-প্রচারিত ফটোশপ-ম্যানিপুলেটেড ছবিটি দিনের বেলার।
তিন.
১৫ আগস্ট থেকে ট্যাংকগুলোর অবস্থান ছিল ঢাকার চারটি স্থানে— বঙ্গভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, শাহবাগে বাংলাদেশ বেতার ও শের-ই-বাংলা নগরে রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরে। এ চারটি অবস্থানের বাইরে সেদিন বা সমকালে ঢাকায় ট্যাংকের আর কোন মুভমেন্ট হয়নি।
চার.
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল কায়েমের পর থেকে জাসদ ছিল নিষিদ্ধ ও গোপন দল; আর ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ থেকে জাসদের শীর্ষনেতৃবৃন্দ ছিলেন কারাগারে অন্তরীণ। কাজী আরেফ আহমেদ, মনিরুল ইসলাম [মার্শাল মনি], হাসানুল হক ইনু প্রমুখগণ ছিলেন আত্মগোপনে। ক্যুদেতার পর ১৫ আগস্ট ভোরে বেতার ভাষণে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আরোপিত পূর্বতন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি বা জাসদকেও প্রকাশ্য করা হয়নি। আত্মগোপনে থাকা জাসদের কারো পক্ষে প্রকাশ্যে আনন্দ-উল্লাস করার কোন প্রশ্ন আসেনা।
পাঁচ.
আত্মগোপনে থাকা কাজী আরেফ আহমেদ, মনিরুল ইসলাম [মার্শাল মনি], হাসানুল হক ইনু ও অন্যরা ১৬ আগস্ট বৈঠকে ব্যস্ত থাকেন ও মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেন; মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপত্র তৈরি করেন।
ছয়.
১৯৭৫ থেকে পরবর্তী প্রায় ৩৫/৪০ বছর পর্যন্ত আর বাঁশেরকেল্লার ফটোশপ-ম্যানিপুলেটেড ছবি প্রকাশ পর্যন্ত কোথাও কোনোদিন কারো কোন কথায়-লেখায়-ছবিতে বা পত্রপত্রিকায় এমন কিছু প্রচারিত হয়নি যে জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর উল্লাস করেছে বা হাসানুল হক ইনু বা জাসদের অন্য কোন নেতা-কর্মী উল্লাস করেছেন।
সাত.
বঙ্গবন্ধু-হত্যার পর তাঁর নিজের দলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ক্ষমতাবান সমস্ত লোকজন মোশতাকের সাথে ছিলেন; আর মাওলানা ভাসানী, হাজি মোহাম্মদ দানেশ ও আতাউর রহমান খান মোশতাককে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন; ন্যাপের মহিউদ্দিন আহমেদ মোশতাকের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন গিয়েছিলেন। জাসদ বা জাসদের কারান্তরীণ নেতৃবৃন্দ বা হাসানুল হক ইনু মোশতাককে অভিনন্দন জানাননি; সমর্থন করেননি।
আট.
খন্দকার মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনকালে— আওয়ামী লীগ ও বাকশাল সরকার কর্তৃক আটককৃত হাজার হাজার জাসদ নেতা-কর্মীর একজনও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি; বরং মোশতাক বিরোধী অবস্থান নেয়ায় সারাদেশে জাসদের শতাধিক নেতা-কর্মী শহীদ হন ও সহস্রাধিক নেতা-কর্মী নতুন করে কারান্তরীণ হন।
নয়.
১৯৭৫ সাল থেকে ২০২০ সাল— এ ৪৫ বছরে প্রকাশিত জাসদের অভ্যন্তরীণ বা উন্মুক্ত কোন দলীয় সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু-হত্যাকে সমর্থন জানানো হয়নি বা এ ঘটনার পক্ষ নেয়া হয়নি বা মোশতাক সরকারের ৮৩ দিনের কোন কার্যক্রমকে সমর্থন জানানো হয়নি; বরং মোশতাক সরকারের বিরোধীতার প্রমাণ আছে ভুরি ভুরি।
দশ.
১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে হাসানুল ইনু জাতীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিপ্লবী গণবাহিনীর রাজনৈতিক কমিসার ছিলেন। একজন জননেতার যে ট্যাংকের উপর ওঠে উল্লাস করা সাজে না তা হাসানুল হক ইনু জানতেন। শত্রুদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত দোদুল্যমান মিত্ররা এসব বিশ্বাস করার মতো কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ও বালখিল্যতা প্রদর্শন করলে তাদের প্রতি করুণাবর্ষণ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
এগারো.
১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদ আওয়ামী লীগ ও বাকশালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম পরিচালনা করেছে; কিন্তু রাজনৈতিক সংগ্রামের বিপরীতে ১৯৭৫ সালে ও পরবর্তীতে সামরিক শাসনের আবির্ভাব হলে জাসদ সকল সময় সামরিক শাসকদের বিরোধীতা করেছে। জাসদ ও আওয়ামী লীগ পরস্পরের ব্যাপারে গভীরভাবে খোঁজ খবর নিয়েই সামরিক শাসন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করেছে— জিয়ার সামরিক শাসনামলে গঠন করেছে ১০ দলীয় ঐক্যজোট, এরশাদের সামরিক শাসনামলে গঠন করেছে ১৫ দল ও খালেদা জিয়ার আমলে গঠন করেছে ১৪ দল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে জাসদের সংশ্লিষ্টতার কণা-পরিমাণ প্রমাণ থাকলে এ ঐক্য হতো না।
বারো.
২০০১ সাল থেকে জাসদের বিরতিহীন প্রচেষ্টার ফলে ২০০৪ সালে গঠিত হয় ১৪ দল; কুখ্যাত ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও এ ঐক্য বহাল থাকে; ২০০৯ সালে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ১৪ দল ও মহাজোট সরকার গঠন করে। নির্বাচনের আগে-পরে ও সরকারে থেকে বিএনপি-জামাত-জঙ্গির বিরুদ্ধে জাসদের অনমনীয় ও দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণের ফলে— মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভক্ত করার লক্ষ্যে, আওয়ামী লীগ ও জাসদের ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে— বাঁশেরকেল্লা যে ফটোশপ-ম্যানিপুলেটেড ছবি ও কাহিনী তৈরি করে— ডান-বাম নির্বিশেষে জাসদ-বিরোধীগণ ও আওয়ামী লীগের আহাম্মকগণ সে ছবি ও গল্প বিশ্বাস ও প্রচার করেন।
তের.
ডান-বাম নির্বিশেষে জাসদ-বিরোধীদের কথা না হয় বাদ দেয়া গেল, আওয়ামী লীগের আহাম্মকরাও যখন এ বিষয়ে শেখ হাসিনার মনযোগ আকর্ষণ করেন, তখন তা থেকে মনে হয় এ যেন মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি, যেন শেখ হাসিনার চেয়েও তারা বঙ্গবন্ধুর খাঁটি অনুসারী; এভাবে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন; আহাম্মকেরা মনে করেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান শেখ হাসিনার চেয়েও তারা পাওয়ার-পলিটিক্সের ইকুয়েশন ভালো বোঝেন।
চৌদ্দ.
আহাম্মকের দলের আচরণ থেকে মনে হয় যে তারা জাসদ ও আওয়ামী লীগের ঐক্য মানতে পারছেন না; মনে হয় যে জাসদ ও বিএনপি মধ্যে ঐক্য হলে যেন এরা খুশি হতেন।
পনের.
আহাম্মকের দল ভুলে যান যে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানের পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ একবারের জন্যও এককভাবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত ছিলো তারা ক্ষমতায় যাবে; কিন্তু তা হয়নি; বিএনপি ক্ষমতায় গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাধিক্য ছিলোনা; জাসদের সমর্থনেই সরকার গঠন করতে হয়েছিল। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ শিক্ষা না নেয়ায় ২০০১ সালে আবার ক্ষমতায় আসে জামাত-বিএনপির চার দল। ২০০১ সাল থেকে জাসদের নিরলস প্রয়াসে ২০০৪ সালে প্রথমে জাসদ ও আওয়ামী লীগ ঐক্য করে ও পরে ১৪ দল ও মহাজোট গঠন করে; এ ঐক্যের ফলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে। এ ঐক্য গত ১২ বছর ধরে দেশ-জনতা-অর্থনীতি-রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনছে।
ষোল.
শত্রুপক্ষের ইতরগণ ও মিত্রপক্ষের আহাম্মকগণ বলে থাকেন যে আওয়ামী লীগ দয়া করে জাসদকে এমপি ও মন্ত্রি দিয়েছিল। বলে থাকেন যে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে পা দিয়ে জাসদ থেকে এমপি-মন্ত্রি হয়েছেন। না, তা নয়; বরং জাসদসহ ১৪ দলের ঘাড়ে পা দিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। জাসদ থেকে মন্ত্রি-এমপি হওয়া কারো বা কোন দলের দয়া নয়; এ ছিল জাসদ ও আওয়ামী লীগ ও অপরাপর দলের ২৩ দফাভিত্তিক রাজনৈতিক চুক্তির অংশ— একসাথে আন্দোলন, একসাথে নির্বাচন ও একসাথে সরকার গঠনের চুক্তির দায়বদ্ধতা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমে জাসদকে মন্ত্রি পরিষদে নেয়া হয়নি, পরে অবশ্য বিবিধ কারণে নেয়া হয়েছে; যে আয়োজন শুরু থেকেই অনুসৃত হওয়া উচিত ছিল। এবং তা এখনও অনুসৃত হওয়া উচিত।
সতের.
২০০৯ সালের কথা না হয় বাদ দেয়া গেল। কিন্তু ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতৃত্বে ১৪ দল ও মহাজোটের নির্বাচন হলো কেন? আওয়ামী লীগ জোট ভেঙে দিল না কেন? একা নির্বাচন করলো না কেন? কারণ এখনও এ ঐক্যের প্রয়োজন আছে এবং নিকট ভবিষ্যতেও তার প্রয়োজন আছে।
বঙ্গবন্ধুতনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা যথেষ্ট প্রজ্ঞাবান। তিনি জানেন কী করতে হবে। টোকাইদের পরামর্শে তিনি চলেন না। সুতরাং— জামাত-বিএনপি-জঙ্গি-তেঁতুলরা জাসদ ও আওয়ামী লীগের ঐক্য ভাঙার জন্য যতোই উস্কানী দিন না কেন, সে উস্কানীতে জাতীয় পার্টির কেউ কেউ যতোই হাউ কাউ করুন না কেন, ন্যাপ-সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেকগণ বঙ্গবন্ধু-প্রেমিক সেজে যতোই চোথা লিখুন না কেন, আর আওয়ামী লীগের আহাম্মকগণ যতোই শক্রুদের ফাঁদে পা দিয়ে গাঁড়লগিরি করুন না কেন— ঐক্য বহাল থাকবে। আহাম্মকদের কথায় কর্ণপাত করেননি শেখ হাসিনা বা হাসানুল হক ইনু; বরং একবার এ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠলে শেখ হাসিনা তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদককে ডেকে এসব অহেতুক ও অর্থহীন বিতর্ক বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। জাসদ নেতা-কর্মীগণও দলের সভাপতির নির্দেশে এগুলো নিয়ে সম্মুখসমরে লড়াই করেননি। বাঁশেরকেল্লার ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না; ক্ষমতায় একবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর একবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি— অপরাজনীতির এ মিউজিক্যাল-চেয়ার খেলা তছনছ করে দিতে হবে। জাসদ আশা করে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জামাত-বিএনপি-জঙ্গি-তেঁতুলদের রাজনীতি থেকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠাতে হবে, এবং পাশাপাশি, বঙ্গবন্ধু কথিত ‘চাটার দল, চোরের দল ও নরপশুর দল’-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশে সুশাসন কায়েম করতে হবে। শেখ হাসিনাও তাতে একমত। সুতরাং— সাধু সাবধান।
[জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা রচিত ও শীঘ্র প্রকাশিতব্য “অবরুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও সংশপ্তক জাসদ” রচনার অংশবিশেষ।]
Leave a Reply