1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
২৭ চৈত্র, ১৪৩১
Latest Posts
📰গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ📰ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনিতে বাংলা নববর্ষ  উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা 📰সাতক্ষীরায় পলিথিনের ব্যবহার বর্জন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন📰২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ📰সাতক্ষীরায় সরকারি খাসজমি উদ্ধারে অভিযান শুরু📰নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদার হলো বাংলাদেশ📰তালা উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ📰তালায় গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ

দু মাস পরও নোনা পানিতে ভাসছে প্রতাপনগরের জনপদ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ৩৩৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আশাশুনি প্রতিনিধি : দু মাস পরও নোনা পানিতে ভাসছে প্রতাপনগরের জনপদ। দিনে দুবারে ডুবে মানুষের আবাস। অথচ মাথা ব্যাথা নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ কতৃপক্ষের।

সাইক্লোন আম্পানের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো বসতবাড়িতে জোয়ার-ভাটায় পানি ওঠা নামা করে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে। দুর্যোগের দু মাসেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি তারা। জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ির এক তৃতীয়াংশ। ভাটায় আবার সরে যায়। ফলে কোন উপায় না পেয়ে বাঁশ দিয়ে স্যাকো তৈরি ঘরের মধ্যে থাকা খাটের সাথে রাস্তা-ভেঁড়ীর সংযোগ করেছেন। এভাবে চরম দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন সেখানকার মানুষ। বাড়ির উঠানে পানি, ঘরেও মধ্যে পানি। তবে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন প্রতাপনগরের সুভদ্রাকাটি, কুড়িকাউনিয়া, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গেলে এসব চিত্র চোখে পড়ে।
জানাগেছে, আম্পান তান্ডবে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা, কুড়িকাউনিয়া, দিঘলার আইট ও চাকলা, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বলাবাড়িয়া দয়ারঘাট ও জেলেখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এসব এলাকার অধিকাংশ স্থান এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। আম্পানের পর থেকে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণে নামে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত চাকলা, কুড়িকাউনিয়া, হরিষখালী ও দিঘলাই আইটের মধ্যে হরিষখালীতে বড় ভাঙ্গনের স্থানটি বাধা হলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কারণে সেটি পুনরায় ভেঙ্গে যায়। এছাড়া কুড়িকাউনিয়া ও চাকলায় এখনো বাধা হয়নি। একটি ছোট ভাঙ্গন বাধা হলেও বড় ভাঙ্গনের এলাকা দিয়ে জোয়ারের সময় পানি উঠে আবার ভাটায় সরে যায়। ফলে আম্পানের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখানকার ভেড়ীবাধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীরা ভেড়ীবাধ নির্মান না হওয়ার পিছনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কে দায়ী করে জানান, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেড়ীবাধ নির্মানের প্রায় ১ তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাকী অংশের কাজ করতে গেলে তিনি বাধ দিয়ে বলেন এখানে কেউ কারো কাজ করার প্রয়োজন নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে। ওই রাতেই জোয়ারের ধাক্কায় পুরো ভেড়ীবাধটাই আবারো ভেঙে যায়। যে কারণে অত্র এলাকার শত শত মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আর দুষিত পানির সাথে বসবাসের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেখানকার মানুষ। বিশেষ করে যোগাযোগ অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে সেখানে।
যদিও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের কারনেই ওই বাধটি ভেঙেছে। এছাড়া ২ মাসেও ওই ঠিকাদার ৩৬৪ মিটার ভাঙ্গণে বাধ দিতে পারেনি।
ঠিকাদার মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, গত মাসে ২৪ তারিখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে আমি বাধ নির্মাণ কাজ শুরু করি। তাহলে দুই মাস হলো কিভাবে। তারপরও কাজ শুরুর পর মনে করেছিলাম ১৩ তারিখে চাপান দিতে পারবো। কিন্তু লোকবল এবং পরিবহন সংকট থাকায় পারিনি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বাধ পরিদর্শনে আসলে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সেই দিনই চাপান দিতে বলেন। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চেয়ারম্যান উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বোঝাতে সক্ষম হন চাপান না দিলে ৪/৫টি ক্লোজার তৈরি হবে। এতে ক্ষতির আরো বাড়বে। নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যানের কথায় আমাকে চাপান দিতে বলেন। চাপান দেওয়ার পর জোয়ারে পানি উঠে এবং ভাটার সময় আমাদের চেম্বার ভেঙে বেরিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারপরও আমরা নতুন করে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুতই বাঁধ নির্মাণ করে মানুষকে পানি বন্দি দশা থেকে মুক্ত করতে পারবো।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু সরকার জানান, আমরা মানুষকে পানিবন্দি দশা থেকে মুক্ত করতে আমরা ১১টি পয়েন্টে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ভেড়ীবাধ নির্মাণ করতে গিয়ে সেনাবাহিনও হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের মুল টার্গেট জনগনকে পানি মুক্ত করা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd