যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণই নেই। উল্টো প্রতিদিন বাড়ছেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সংক্রমণ রোগ বিভাগের প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘গুরুতর সমস্যা’য় নিমজ্জিত।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যা কিনা দেশটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। দেশটিতে আক্রান্ত ২৪ লাখ আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ, যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ‘থিংক ট্যাংক’ও দিশেহারা।
কভিড-১৯ নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিফিং দিল করোনাভাইরাস বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্স। সেখানে অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, ‘এটির (কভিড-১৯ মহামারী) সমাপ্তি টানার একটিমাত্র উপায় আছে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এটি শেষ করতে হবে। আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে আমরা সত্যিকার অর্থেই গুরুতর সমস্যায় রয়েছি। পরিশেষে যা হবে, একটি অঞ্চল অন্য অঞ্চলগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলবে।’
কী কারণে এমন সমস্যা তাও ব্যাখ্যা করলেন ফাউসি। তার মনে হয়, অঞ্চলগুলো ‘খুব দ্রুতই খুলে দেয়া’র কারণেই সংক্রমণটা বেড়ে যাচ্ছে। আর নাগরিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলেও অভিযোগ তার। ফাউসি বলেন, ‘মানুষজন অন্যদের সংক্রমিত করছে এবং আপনি হয়তো এমন একজনকে সংক্রমিত করছেন যে কিনা খুবই নাজুক। একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার নিজের ওপর যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি আপনাকে কিছু সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হয়। আমরা যদি এই প্রাদুর্ভাবটি সত্যিই শেষ করতে চাই, তবে সবাইকে এটি অনুধাবন করতে হবে ও এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে।’
Leave a Reply