1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
১৪ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তি আজ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০
  • ১১৭ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালে আইসিসি মিনি বিশ্বকাপের সফল আয়োজন ক্রিকেট দুনিয়াকে দেখিয়েছিল আয়োজক বাংলাদেশের সক্ষমতা। একই টুর্নামেন্টে এই দেশে ক্রিকেটের বহুল জনপ্রিয়তার ঢেউও সবার চোখে পড়েছিল। তারপর থেকেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার চেষ্টায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিলেন তত্কালীন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সাফল্য বাংলাদেশের দাবিকে আরো জোরালো করেছিল। অবশেষে ২০০০ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২৬ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা তথা টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। এই স্বীকৃতি অর্জনে আইসিসির সাবেক সভাপতি প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর কূটনৈতিক দক্ষতাও সফলতা পেয়েছিল এর মাধ্যমে। আইসিসির ঘোষণার মধ্যদিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় পা রাখে বাংলাদেশ। তারপর কেটে গেছে ২০ বছর। টেবিলের, কাগজে-কলমের স্বীকৃতি পাওয়ার পর সাদা পোশাকে ২২ গজের লড়াইয়ে শামিল হয় বাংলাদেশ মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে। নভেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্ট খেলে বাংলাদেশ।

গত ২০ বছরে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত এই ফরম্যাটে টাইগারদের পদচারণা খুব সুখকর নয়। কিছু খণ্ড খণ্ড সুখস্মৃতি অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু ২০ বছর আগের আশা, স্বপ্নের সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতার ফারাক অনেক বেশি। প্রত্যাশিত উন্নতি, কাঙ্ক্ষিত অবস্থান কোনোটাই পায়নি বাংলাদেশ। টেস্টে এখনো সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ, র্যাংকিংয়ের তলানির দল। লম্বা সময়ে টাইগারদের হারের তালিকায় দীর্ঘ হয়েছে প্রতিনিয়ত। ১১৯ টেস্টে মাত্র ১৪টি জয়। হার ৮৯, ড্র ১৬। জয়গুলোর অর্ধেকই (৭) খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোই এযাবত্কালে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটসম্যান এসেছে। মুশফিক তিনটি, সাকিব-তামিম একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। পরবর্তীতে মুমিনুল হকের মতো ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানও পাওয়া গেছে। বাঁহাতি স্পিনের ঐতিহ্য টিকে আছে রফিক, সাকিব, তাইজুলদের হাত ধরে। অফ স্পিনেও হারিয়ে যায়নি। তবে পেস বোলিংয়ে বরাবরই ধুঁকেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি, শাহাদাতরা আশা জাগিয়েছেন বল হাতে। কিন্তু কেউই লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারেননি। টেস্টে সত্যিকারের দ্রুতগতির ফাস্ট বোলার না পাওয়ার আক্ষেপ ২০ বছর ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তির দিনে মুমিনুলদের কাছে হয়তো সবচেয়ে বড় কষ্ট করোনায় একের পর এক টেস্ট ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়া।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd