এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের সুপারিশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটিতে নাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে ড.শিরীণ আখতার বলেন, আমি বহুবছর শিক্ষকতা করেছি। এখনো করছি। আর নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার বড় দায়িত্ব। তাই বরাবরের মতো এবারও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করবো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাজকে সহজ করতে সার্চ কমিটির ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে সুধীসমাজের প্রতিনিধিত্বকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার সার্চ কমিটির প্রথম নারী সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রাপতির দপ্তর থেকে কোনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি।
উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার বলেন, সার্চ কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য কয়েক জনের নামের সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য সার্চ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বসে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই তো অনেক কথা বলবে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের নাম সুপারিশের ক্ষেত্রে আমরা কোন পক্ষপাত করবো না। এ বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণ করবো।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপ-উপাচার্য হিসেবে গত বছরের ২৮ মার্চ কাজ শুরু করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিইএচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি।
Leave a Reply