আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন (লাকি) বাহিনীর হামলায় ইউপি’র অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর এবং আহত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরো পাঁচজন। বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহীষকুড় মৎস্য সেটের সামনে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় এই ঘটনাটি ঘটে। ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবু হেনা শাকিল সহ স্থানীয়রা জানান, আলাউদ্দীন (লাকি) বাহিনীর হাসান, ফারুক, রাশেদ, সাহেদ, রাসেল, ইয়াসিন, হামিদসহ আরো ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসীরা লোহার রড, শাবল ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার ও আমার লোকজন এবং ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় আক্রমণ করে। তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অসহায়দের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ত্রাণের টাকা চাঁদা চাইলে আমি দিতে অস্বীকার করলে আমার অফিসে এসে হামলা চালায়। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন লাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মৎস্য-ঘের লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুরসহ চুরি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, গত ০৮/০৬/২০২০ তারিখে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় মাছধরা কেন্দ্রিক চাঁদা চাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলসহ অসহায়দের মধ্যে সন্ত্রাসী বাহিনীদের বাকবিতণ্ড ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করাসহ মারপিট করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্রীউলা ইউনিয়নের রশিদ মোড়লের পুত্র আমিনুল ইসলাম, সুরমান আলী গাজীর পুত্র রহিস উদ্দিন গাজী, সোবহান গাজীর পুত্র রুস্তম গাজী, ইমান আলী মোড়লের পুত্র রহিম মোড়ল, মগরোব মোড়লের পুত্র গ্রাম পুলিশ কহিনুর মোড়ল, তালেব আলী সরদারের পুত্র মোবারক সরদার, ইউপি চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আব্দুল্লাহ আল মামুন, রশিদ মোড়লের পুত্র বিল্লাল মোড়ল, অবেদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর গাজী, গফুর গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী। আহত অনেকের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এবং কয়েকজনের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রুস্তম গাজীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করে খুলনায়় পাঠানো হয়েছে বর্তমান তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে আর যদি কেউ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply