স্টাফ রিপোটার: কলারোয়া বাজারের সরকারি কলেজ থেকে খাদ্যগুদাম মোড় পর্যন্ত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গ্রীষ্মকালে ধূলা ও বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে কাঁদা-পানি যেভাবে দিনকে দিন বেড়ে চলেছে তাতে জনজীবন অতিষ্ঠ ও বিপর্যস্থ হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার রাস্তার ধারের বিভিন্ন দোকান, ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী, সাধারণ জনগণ, পথচারী সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। মূলত রাস্তা সংস্কার না করার কারণেই এই ধূলো এবং কাঁদা-পানির উৎপত্তি।
দিনকে দিন রাস্তার অবস্থা যত খারাপ হচ্ছে ধূলা এবং কাঁদা-পানির পরিমাণ ততই বাড়ছে৷ বাস, ট্রাকসহ যেকোন যানবাহন গেলেই ধূলা এবং কাঁদা-পানির পরিমান বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্মকালে ধূলায় যেনো ঘন কুয়াশায় রূপ নেই। ব্যস্ততম এ সড়কে প্রতিক্ষণ কোন না কোন যানবাহন চলাচল করে। ফলে ধূলা এবং কাঁদা-পানি থেকে রেহায় পাচ্চেন না কেউ। গ্রীষ্মকালে ধূলার পরিমাণ এতোই প্রকট যে সামনে চোখে কিছুই দেখা যায় না। ধূলায় আচ্ছন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকলকে।
এখন বর্ষাকাল বৃষ্টির দিনে জনজীবন আরোও বেশি বিপদজনক হয়ে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই এলাকার রাস্তার দুই পাশে যেসব ব্যবসায়ী নিয়মিত দোকানে থাকে তাদের মধ্যে অনেকেরই দোকানে বাস, ট্রাকসহ আনন্য ভারি কোন গাড়ি রাস্তা দিয়ে গেলে তাদের দোকানে কাঁদা পানি ছিঁটকে যায়।
এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগিরা। দ্রুত রাস্তা সংস্কার করে এই ধূলাবালি ও কাঁদা-পানির হাত থেকে সাধারণ জনগণকে মুক্তি দেয়ার দাবি তুলেছেন তারা।
এ বিষয়ে, কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহাজাদা গনমাধ্যামকে বলেন, আমাদের কলারোয়ার এই রাস্তাটা যাতে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থ্যা গ্রহন করা হয় সে জন্য কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো। যাতে কলারোয়ার সাধারন জনজীবন অতিষ্ঠ না হয়।
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, যশোর-সাতক্ষীরা হইওয়ে রোড বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের প্রানের দাবি ছিল, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য। আমাদের দাবি পূরন হয়েছে। যশোর-সাতক্ষীরার হাইওয়ে কলারোয়াতে ১০ কিঃমি নতুন করে করার বাজেট পাশ হয়েছে কিন্তু কলোনা পরিস্থির কারনে, রাস্তার কাজ এখনো শুরু হয়নি। অচিরেই কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply