সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল (বিপিএম) বলেছেন, “দেশের সম্মানিত নাগরিকরা নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরবেন—এই পরিবেশ তৈরি করাই পুলিশের দায়িত্ব। কে কাকে ভোট দেবেন বা কে জিতবেন–হারবেন, এটি পুলিশের বিষয় নয়।” রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আপনাদের সহযোগিতায় সাতক্ষীরায় একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন উপহার দিতে পারব—এ বিষয়ে আমি আশাবাদী। আমার এখানে আসার মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য রাখা।”
বিগত নির্বাচনে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে এসপি জুয়েল বলেন, “আগের কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্যতার পর্যায়ে ছিল না। এবার গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে আমরা নতুন যাত্রা শুরু করেছি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঐতিহাসিক নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন—এর অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।”
নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা—এটাই আমাদের একমাত্র কাজ। সততা, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে দায়িত্ব পালন করা হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছে। সাংবাদিকরাও আমাদের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি।”
এ সময় তিনি সাতক্ষীরায় অবৈধ লেনদেন, অনলাইন জুয়া, চুরি, কিশোর গ্যাং, যানজট এবং শ্যামনগর–সুন্দরবন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মিথুন সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।

আব্দুর রহমান 


















