1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বৈকারি  ইউনিয়নে আসক ও স্বদেশ সংস্থার উদ্যোগে মানবাধিকার বিষয়ক সিভিক কমিটি গঠন।📰শ্যামনগরে স্মার্ট হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, বেসরকারি ক্লিনিক ও হোটেলে জরিমানা📰সাতক্ষীরায় কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব📰বিশ্বকাপে ব্রাজিলীয় সমর্থকদের জন্য রেস্ট্রিকশন📰নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর📰ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক📰মিয়ানমারে ডিসেম্বরে নির্বাচন, সেনাপ্রধানের নেতৃত্বেই অন্তর্বর্তী সরকার📰১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ📰রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা কম📰আসনের সীমানা পরিবর্তনে বৈষম্যের শিকার আশাশুনি-শ্যামনগরের মানুষ

সাতক্ষীরায় কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব

মশাল ডেস্ক
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ সংবাদটি পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিতে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
শ্যামনগরের ১৪টি গ্রামের ৩১ জন কৃষকের অংশগ্রহণে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থাপন করেন বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বারসিকের উপকূলীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার।
গবেষণায় দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা ধান ও সবজি চাষে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন, যার মধ্যে অনেক সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক বিষাক্ত পণ্যও রয়েছে। এসাটপ, ক্যারাটে, ডেল এক্সপার্ট, ফার্মকট, জোয়াস, কনজাপ্লাস, মিমটক্স, মর্টারসহ বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক সরাসরি ফসলে প্রয়োগ করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃষকরাই এসব স্প্রে করছেন এবং তারা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত নন।
ফলে অনেক কৃষক দীর্ঘদিন ধরে ত্বক, চোখ, শ্বাসতন্ত্র ও লিভারজনিত জটিলতায় ভুগছেন। কারও কারও চিকিৎসা ব্যয় ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ ব্যয় মেটাতে অনেককে সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে কিংবা ঋণ নিতে হয়েছে।
এছাড়া কীটনাশকের প্রভাবে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং জলজ প্রাণির মৃত্যু, শিশু ও বৃদ্ধদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি ক্ষেতের সবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক নজরুল ইসলাম, গহর কয়াল, গোপাল মন্ডল, কেনা মন্ডল ও কওছার তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা জানান, অধিক ফলনের আশায় বিক্রেতাদের পরামর্শেই এসব বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিলন, প্রতিমা রাণী চক্রবর্তী, স্থানীয় সাংবাদিক, যুব সংগঠক ও কৃষক প্রতিনিধিরা।
বারসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে উপকূলীয় জনপদ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সহজ নির্দেশনা প্রদান, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার, স্প্রে কাজে নিয়োজিতদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন এবং জৈব কৃষি পদ্ধতির প্রসারে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা জোরদারের দাবি জানান।
গবেষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ব্যক্তি নয়, সমগ্র সমাজ ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে এখনই দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা সময়ের দাবি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd