মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদীকে নারী নির্যাতনের মত নির্যাতন করা হয়। তামাক চাষ একেবারে যদি বন্ধ নাও করি, চাইলে তা অন্যান্য জায়গায় করা যায়। কিন্তু হালদার পাড়ে কেন করতে হবে। হালদার পাড়ে তামাক চাষ মাছের ক্ষতি করছে। এখানে অবিলম্বে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে। হালদা পাড়ে তামাক চাষ কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য না।
তিনি বলেন, যারা তামাক চাষ করছেন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। কিন্তু আপনারা জেনে বুঝে এই ক্ষতিটা করবেন না। যারা তামাক চাষ করে তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদী পরির্দশন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর উপরিভাগে রাবার ড্যাম কিন্তু কৃষকদের লাভের জন্য করা হয়নি। এটা আমাদের ভুল বুঝানো হয়েছে। এটা করেছে চা বাগানের জন্য। এসব বড় বড় কোম্পানির জন্য আমাদের এত বড় হালদা নদী নষ্ট হবে, ধ্বংস হবে। এটা আমরা হতে দেবো না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হালদা প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল মুখ্য, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছিম হায়দার, নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দিন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন আজাদী, হালদা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, রাউজান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানা, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন, এনজিও সংস্থা আইডিএফের প্রতিনিধি মাহাবুল হাসান, হালদার ডিম সংগ্রহ কারী শফিকুল আলম, কামাল সওদাগর, রোসাঙ্গীর আলম, দেবজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।
এসময় হালদা নদীকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে ৪টি বিশেষ ড্রোন উদ্বোধন করা হয়। এর আগে সকালে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হালদা নদী পরিদর্শন করেন এবং হালদায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
Leave a Reply