অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজ আমরা করছি। জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সচেতনতাই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল শক্তি। ভবিষ্যতে কেউ যদি স্বৈরাচার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাহলে জনগণ সঙ্গে সঙ্গেই তার পতন ঘটাবে। কারণ, একবার যখন জনগণ রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তি তাদের থামাতে পারে না।”
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
ড. ইউনূস বলেন, “১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিজয়ের জন্য আমাদের ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে—গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে জনগণকে সর্বদা সজাগ ও সংগঠিত থাকতে হবে। আমরা চাই না, আর কখনো সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিন ফিরে আসুক।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা। কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনারও আয়োজন করা হয় যেখানে ’৯০-এর গণআন্দোলনের স্মৃতি জাগানিয়া গান পরিবেশন করা হয়।
জুলাই মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে থাকবে আলোচনা সভা, গণসংলাপ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য—গণতন্ত্র চর্চার প্রতি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্য আরও মজবুত করা।
Leave a Reply