স্কুল শিক্ষকের দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রসীরা। গত ১৩ জুলাই রোববার সকালে তালা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিনের বাজারস্থ নিজ দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় মৃত. আকবর মোড়লের পুত্র ইয়াছিন মোড়ল, আয়ুব মোড়ল ও ইছহাক মোড়ল ও তার বাহিনী। সন্ত্রাসীরা রোববার সকালে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানের দরজা-জানালা ভেঙে দোকানের ভিতর ঢুকে আসবপত্র, মালামাল লুুট করে এবং দোকানঘর ভাংচুর করে। এর প্রতিবাদে দোকানের ভাড়াটিয়া ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের তেতুলিয়া ইউনিয়নের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সবুজসহ এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম সবুজ জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গগণের সাথে বসে মিমাংশার চেষ্টা করে আসছিলাম। এরই মধ্যে দখলদার বাহিনীরা যে কাজটি করলো তা নিন্দনিয়।
তালা মডেল হাই স্কুলের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিনের পুত্র ইমরুল কবির জানান, তালা উজেলার কলিয়া মৌজার ৮২২ দাগের ১১ শতাংশ এবং ৮২১ দাগের এক শতাংশ জমি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তারা দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। কলিয়া বাজারের উক্ত জমির উপর দু’টি দোকান ঘর রয়েছে। যাহা ভাড়া দেওয়া।
সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত. আকবর মোড়লের পুত্র মোঃ ইয়াছিন মোড়ল, মোঃ আয়ুব মোড়ল এবং মোঃ ইছহাক মোড়ল উক্ত জমি তাদের দাবি করে দখলের পায়তারা চালায়। গত ২১ জুন একটি দোকানের ভাড়াটিয়া মোঃ সবুজ শেখকে তারা ঘর থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। উক্ত দখল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তারা দখল ও দখলে বাধাদিলে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো।
এব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারা বিধান মতে একটি আবেদন করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কলিয়া গ্রামের মোঃ নুরুল আমিন মোড়লের পুত্র মোঃ ইমরুল কবির।
ভুক্তভোগি ইমরুল কবির আরও জানান, তার মায়ের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে পিতা নুরুল আমিন মোড়ল, বড় ভাই মনিরুল মামুন এবং তার নিজের নামে উক্ত জমি প্রাপ্ত হন তারা। তারা দখলি জমির যাবতীয় খাজনা দাখিলা পরিশোধ পূর্বক নিজ নামে রেকর্ড করে ভোগদখাল করে আসছে। দেশের প্রেক্ষপট পরিবর্তনের পর একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে চক্রটি উক্ত জমির উপর থাকা দোকান দু’টি দখলের পায়তারা করছে।
-জহুরুল কবীর
Leave a Reply