1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
২৩ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন📰এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই📰উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো📰গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২📰আনিসুল-রুহুল-চুন্নু‌কে জাপা থে‌কে অব্যাহ‌তি, শামীম মহাসচিব📰বড়দল কলেজিয়েটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনি বাজার ও ওয়াপদার পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন📰ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব📰সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা📰সোরা দক্ষিণ পাড়ার মেইন রাস্তা পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ, সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ

বড়দল কলেজিয়েটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর সংবাদ সম্মেলন

মশাল ডেস্ক
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ০ সংবাদটি পড়া হয়েছে
 আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ নিয়ে চলমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আলী। রবিবার দুপুরে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দীন ২০২২ সালে অন্যত্র চলে গেলে পদটি শূন্য হয়। তৎকালীন সরকারি বিধি-বিধান পরিপত্র অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও গভর্নিং বডির তৎকালীন সভাপতি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ এস এম মোখলেছুর রহমান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জ্যেষ্ঠতার লংঘন ঘটিয়ে ১২ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে পেছনে রেখে ১৩ নং সিরিয়ালের জুনিয়র প্রভাষক বাবলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করেন। পরবর্তীতে ৫/০২/২৪ তাং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। পরিপত্রের আলোকে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করতে’ ইচ্ছুক মর্মে লিখিত ভাবে গভর্নিং বডির সভাপতিকে অবহিত করতে গেলে তিনি আবেদন গ্রহন করেননি বরং তুমি আওয়ামীলীগ করো না, বিএনপি, জামায়াতের সমর্থক তোমাকে দায়িত্ব দেবনা, বেশি জানাজানি-করলে নাশকতার মামলায় জেলে পাঠাবো বলে তাড়িয়ে দেন। ৫ই আগস্ট ফ্যাসীবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আমি সহ এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে মাউশি, খুলনা অঞ্চল থেকে বাবলুর রহমানকে ৫/০৯/২০২৪ তারিখের মধ্যে বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত আধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করার বিষয়ে পত্র প্রদান করা হয়। কমিটির সভাপতির অবহেলার সুযোগে বাবলুর রহমান মহামান্য হাই কোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন (নং ১০৯৬২/২০২৪)। মহামান্য হইকোট মাউশির চিঠির উপর ছয় মাসের Stay Order প্রদান করেন। আমি আপিল বিভাগে যাই সেখান থেকে মহামান্য হাই কোর্টকে মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার জন্য direction প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারি ও অভিভাবক শিক্ষার্থী মিলে প্রধান ফটকের সামনে মানব বন্ধন করে এবং বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ১০/০৯/২০২৪ তাং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে পত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু হাই কোর্টে মামলা চলমান থাকার কারনে পরে চিঠিটি প্রত্যাহার করা হয়। গত ১৪ মে ১০৯৬২/২৪ নং মামলার চূড়ান্ত রায় প্রদান করা হয়। রায়ে স্পষ্ট করা হয় যে, উক্ত বিষয়টিতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, এই বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা বোর্ড ২২ মে পত্রের মাধ্যমে চাকরীকাল বিবেচনায় সবচেয়ে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপককে অবিলম্বে ভারপ্তাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে বোর্ডকে অবহিত করায় জন্য এডহক কমিটির সভাপতিকে জানায়। এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ২৫ মে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আমি শিক্ষা বোর্ডে পরামর্শ নিলে আমাকে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য একজন সভাপতি মনোনয়নের লক্ষ্যে ডিসি মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়। আমি যেহেতু ২৮ মে থেকে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি সেহেতু আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তিন জনের নাম দিয়ে ডিসি মহোদয়ের মাধ্যমে অবশিষ্ট মেয়াদে একজন সভাপতি মনোনয়নের জন্য আবেদন করি। চক্রান্ত করে গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আইন শাখা থেকে সহকারী সচিব জনাব মোঃ আব্দুল জলিল মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি প্রতিস্থাপিত চিঠি বের করে নিয়ে আসা হলে আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহোদয়ের সাথে দেখা করলে তিনি চিঠি দেখে চমকে ওঠেন এবং ফাইল পর্যালোচনা করে দেখেন যে, চিঠিটি অনুমোদন বিহীন।
এদিকে সহকারী কমিশনার তাজুল ইসলাম বাবলুর রহমান ও আমাকে এক সঙ্গে ডেকে সকল কাগজ পত্র দেখে বাবলুর রহমানকে বলেন আপনার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র নাই। আপনি আসতে পারেন। কিন্ত আবার শুরু হয় নতুন চক্রান্ত। আমাকে বলা হয় বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার বলছেন, যেহতু এটা কলেজের বিষয়, আপনি তাজুল সাহেবকে বলেন যেন আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। আমি তাজুল সাহেবকে বললে তিনি বলেন যে, জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে হবে।
আমি ২৮ মে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আর বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানে না এসে রেজুলেশন খাতা, ক্যাশখাতা সহ সকল গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ সে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দাবি করে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবিকরা ফ্যাসীবাদের দোসর বাবলুর রহমানের চক্রান্তের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য আমি আইনগত পদক্ষেপ নিতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd