আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মেঝে ১ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। শ্রেণি, অফিস কক্ষ, সামনের আঙিনায় জলাবদ্ধতার কারনে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
২০১৫ সালে বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন ভবন হয়নি। স্কুলের মেঝে পানিতে তলিয়ে থাকায় অফিস কক্ষের নথিপত্র, আসবাবপত্র কোন রকমে উচু জায়গায় রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পানি কাঁদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। ইটের দেওয়াল টিনের ছাউনি যুক্ত দুটি শেডে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্যানিটেশন টয়লেট নেই। বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি আর পানি।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৪জন শিক্ষক, ৫৩জন নিয়মিত শিক্ষার্থী আছে। গজুয়াকাটি ও বড়দল ইউনিয়নের পাঁচপোতা থেকে শিশুরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পথঘাট তলিয়ে গেছে। একমাত্র বাঁশের সাকোটিও নড়বড়ে। বিদ্যালয়ের আধুনিক ভবন নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রাণী জানান, ২০১৫ সালের পূর্বের জরাজীর্ন ভবন ঝুঁকিপূর্ন বিবেচনা করে উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরে সরকারি ফান্ডের টাকা দিয়ে ইটের দেওয়াল ও টিনের ছাউনি যুক্ত সেমি পাকা ঘরে শ্রেণি কার্যক্রম ও অফিস চলছে। আজও নতুন ভবনের বরাদ্দ পায়নি। গরমের সময় টিনের চালে অতিরিক্ত গরম আবার বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে স্কুল প্রাঙ্গন নিচু হওয়ায় তলিয়ে যায়। আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। আমিসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করা হোক।
অভিভাবক রাহুল দেব মন্ডল জানান, বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের লেখাপড়া শেষ অনেকেই দেশের বিভিন্ন সেক্টরে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে। খাজরা ইউনিয়নের সব চেয়ে চাকুরীজীবি এই গ্রামের অথচ শিক্ষা, যোগাযোগ খাতে অবহেলার স্বীকার। বর্তমানে বিদ্যালয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাতে সাহস পাই না। দ্রুত ভবন নির্মানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত ভবন নির্মান করা হোক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply