জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১ জুন (রোববার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো পুনর্গঠন করা হয় এবং এরপরই এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা এখন একটি পূর্ণাঙ্গ মামলায় রূপ নিয়েছে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তিনি পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট তিনটি মামলা চলছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এছাড়া, তাঁর শাসনামলে গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় আরও দুটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
Leave a Reply