আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনির তেঁতুলিয়ায় বিএনপি’র দলীয় সাইনবোর্ড মেরে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার বিকালে লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠু শাহা ও রফিকুল গাজী দীর্ঘ ৫০ বছর দখলিও জমিতে বালি ও বরফ এর ব্যবসা করে আসছিল। গত (১০ জুন) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি ইউনিয়ন কার্যালয় ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন কার্যালয়ের দুইটা সাইনবোর্ড মেরে জমি জবরদখল করে নিয়েছে কাদাকাটি ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি’র সভাপতি তুহিনুল্লাহ তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু)।
কাদাকাটি ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের ডাক্তার আবু তালেব শাহ এর ছেলে মিঠু শাহ, মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন গাজীর ছেলে রফিকুল গাজী, কাদাকাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের আফসার আলী খাঁ এর ছেলে তারিকুল ইসলাম, কাদাকাটি গ্রামের ওয়াহেদ আলী সরদারের ছেলে বদরুল সরদার সাংবাদিকদের জানান, ৫ই আগস্ট এর পর থেকে কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে মানুষের জায়গা জমি অবৈধভাবে জবর দখল করে নিয়ে চলেছে। এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। তাদের কিছু বলতে গেলে হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে বলে আগের দিন শেষ। এখন আমরা যা বলব সেটাই সোনা লাগবে।
অভিযুক্ত কাটাকাটি ইউনিয়নের সাবেক বিএনপির সভাপতি তুহিনুল্লাহ তুহিন বলেন, আমাদের বিএনপির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু) ওই জায়গাটা দীর্ঘ একুশ বছর উনার দখলে আছে। তেঁতুলিয়ার বাজারে একটা ডাক্তারের চেম্বার আছে ওখানে জায়গা কম থাকার কারণে ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
তবে যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের জায়গা নদী গর্বে বিলেন হয়ে গেছে। জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু) বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জায়গাটা আমার দখলে। আমার দলীয় লোকজনের বসার কোন জায়গা নেই তাই ওখানে দলীয় অফিস নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাইনবোর্ড মেরেছি। অপরপক্ষের দীর্ঘ ৫০ বছর দখলীয় জমি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনাদের ওখানে জায়গা ছিল কিন্তু সেই জায়গা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাক্তার শহিদুল আলম বলেন, বিষয়টা আমি জানতাম না আপনি বলেছেন তাই শুনেছি। তবে আপনি আমাদের সাতক্ষীরা জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটু কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ বলেন, আমার দল কখনো অবৈধ কাজকে সমর্থন করে না। আমি স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বলে দেব বিষয়টা এক জায়গায় বসে সমাধান করার জন্য।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, এ বিষয়টা আমি জানিনা আপনি আশাশুনি উপজেলা বিএনপির কাছ থেকে বক্তব্য নেন।
Leave a Reply