রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল, কাপ্তান বাজার, মুগদা, খিলগাঁও ও মালিবাগসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দামে মিশ্র প্রবণতা বিরাজ করছে। একদিকে চাল ও খোলা ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি, ডাল, আদা ও রসুনের দাম কমেছে।
চালের বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কিছুটা অস্বস্তিতে ফেললেও মুরগি ও ডালের দামে স্বস্তি ফিরেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুম শেষে সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে, তবে কিছু পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সেগুলোর দাম কমেছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানায়, মাঝারি মানের পাইজাম, মোটা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
পাইজাম ও লতা চাল: ৫৬-৬৫ টাকা (আগে ছিল ৫৩-৬২ টাকা)
স্বর্ণা ও চায়না ইরি: ৫২-৬০ টাকা (আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা)
তবে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বোরো মৌসুম শেষ ও বর্ষাকালে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চালের সরবরাহ কমে গেছে, ফলে বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে তারা আশাবাদী, খুব শিগগিরই দাম আবার স্থিতিশীল হতে পারে।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের দাম বেড়েছে:
খোলা সয়াবিন: ১৫৭-১৬৮ টাকা/লিটার (আগে ছিল ১৬০-১৬২ টাকা)
খোলা পামওয়েল: ১৪৫-১৫৪ টাকা/লিটার (আগে ছিল ১৪৫-১৪৮ টাকা)
বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ব্রয়লার মুরগি: ১৫০-১৭০ টাকা/কেজি
দেশি সোনালি ও কক মুরগি: দাম অপরিবর্তিত
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম কমানো সম্ভব হয়েছে।
মোটা মসুর ডাল: ৯৫-১১০ টাকা/কেজি
আদা: ১১০-২০০ টাকা/কেজি
আমদানি করা রসুন: ১৪০-২২০ টাকা/কেজি
বিশেষ করে চীন ও মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত রসুনের সরবরাহ বাড়ায় এর দাম কমেছে।
ফার্মের ডিম (প্রতি হালি): ৪০-৪৬ টাকা (হালকা বেড়েছে)
শাকসবজি: ৫০-৬০ টাকার মধ্যে (পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে প্রভৃতি)
Leave a Reply