এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে ঝুঁকি বিশ্লেষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় জলবায়ূ পরিবর্তন সম্পর্কিত ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা ও জলবায়ূ অভিযোজন, প্রশমন, দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোক্তা সৃষ্টি অনুদান জলবায়ূ সহনশীল কাঠামো তৈরী নারী সংবেদনশীল আশ্রয়কেন্দ্র তৈরী বেরিবাঁধ নির্মানের জন্য বাজেটে অন্তভর্‚ক্তকরণ। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন আগামী অর্থবছরে বাজেটে যুবদের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় ঝুঁকি নিরসনে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারী দপ্তরের বাজেটে জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ে নিচের খাতগুলো বরাদ্দের জন্য ইয়ূথরা প্রস্তাবনা দেন।
দুর্যোগ কবলিত যুব ও নারীদের মাঝে হাইজিন কিডস (ন্যাপকিন প্যাড, হ্যান্ড ওয়াশ, টিস্যু) বিতরণ। জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সহায়ক উপকরন বিতরন। দূর্যোগকালীণ জরুরী সেবা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়নে থোপ বরাদ্দ নিশ্চিত করা ও বৃক্ষ বিতরণ করা। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার সামগ্রী বিতরণ/ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা। লবণাক্ততা মোকাবেলায় কৃষি বরাদ্দ বৃদ্ধি। বন্যা ও জলোচছাস প্রতিরোধে বাঁধ নির্মান ও সংস্কারে বাজেট রাখা। স্থানীয় জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেটে বরাদ্দ রাখা। জলাবদ্ধতায় বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করা। জলবায়ূ অভিযোজনমুখি শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণে বাজেট রাখা। নারী নেতৃত্বে অভিযোজন প্রকল্পে বরাদ্দ। গ্রামে গ্রামে দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটি গঠন, উদ্ধার সামগ্রী বিতরণ এবঙ মহড়া আয়োজন বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগেুলোর জন্য জলবায়ূ সহনশীল ঘর তৈরীতে অনুদান বা লোন বরাদ্দ। লবণাক্ততা বা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য বিকল্প জীবিকা প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র্রিন বরাদ্দ। বাজে্েট নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান (প্রয়োজনে) ও পুরাতনগুলোর সংস্কারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লাইমেট ইনফরমেশন সেন্টার চালু এবং আগাম সতর্কতা বার্তা প্রচারে বাজেট বরাদ্দ। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত কারণে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ (সবুজ ব্যবসা, কম্পোস্টিং, রিনিউয়েবর এনার্জি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বাজেট দেওয়া)
উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা উপরোক্ত বিষয়গুলো আগামী অর্থ-বছরের বরাদ্দ রাখার ব্যাপারে সুপারিশ করেন।
Leave a Reply