আশাশুনি প্রতিনিধি:
আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেয়ে এখন আমার লীজ নেওয়া সম্পত্তি অন্য সম্পত্তি বলে চালিয়ে দিয়ে আমাকে দখলবাজ সাজানোর নাটক মঞ্চস্থ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরে আলম সারোয়ার লিটন এসব কথা বলেন।
লিটন তার বক্তব্য লিখিত আকারে তুলে ধরে বলেন, আশাশুনি উপজেলার সববদলপুর মৌজার ০১ নম্বর খতিয়ানের ৬৪৬ নম্বর দাগের ৩৯ শতক জমি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে একসনা ইজারা ৭৩১/ ১৪৩১ কেস মূলে প্রাপ্ত হয়ে বাঁধ ও নেটের বেড়া দিয়ে ভোগ দখলীকার থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে শিবনাথ সরকারগং বাদি হয়ে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সরেজমিনে তদন্তভার আদালত কর্তৃক আশাশুনি সদর নায়েবের উপরে পাঠালে নায়েব আমাদেরকে নোটিশ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর রাতে আধারে শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ সহ আরও কয়েকজন মিলে রাতে তারাবী নামাজের সময় আমার নেটের বেড়া ও বাশ খুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় অনেকেই আমাকে জানায়। পরদিন (১৩ মার্চ) সকালে আমি সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ আমার মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে সমান করে দিচ্ছে। আমাকে দেখতে পেয়ে তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমি আবার নেট পাঠা কিনে আমার ঘেরের সীমানা পুনরায় বেড়া দেই।
লিটন আরো বলেন যেহেতু তারা আমার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছে। সে কারণে আমি তাদেরকে বলেছি বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আমরা উভয় পক্ষ আদালতের শরণাপূর্ণ থাকবো। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নিব।
তিনি বলেন, এই জমি সরকারি খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি সুতরাং এই জমির মালিক সরকার। এই জমি ভোগ দখল করতে গেলে অবশ্যই তাকে বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করতে হবে। কিন্তু শিবপদদের কোন কাগজপত্র নেই তারা এই সম্পত্তি এতদিন যাবত কর-খাজনা না দিয়ে দখল করে খেয়ে এসেছে। আমি সরকারকে যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে এই জমির বন্দোবস্ত নিয়েছি।
লিটন আরো বলেন- আমার এবং আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একদল চক্রান্তকারী ওদেরকে উসখে দিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
Leave a Reply