1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করবে সরকার📰আশাশুনিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এলজিইডির পিচের রাস্তা সঠিকভাবে কাজ📰সাতক্ষীরায় বিজিবি’র মেডিকেল ক্যাম্পেইন📰সন্ত্রাসী আনসার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে জবেদ আলী মুকুলের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ📰যশ-নুসরাত থাকছেন আলাদা , মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির গুঞ্জন📰কলারোয়ায় ছাগল-রাজহাস পুরষ্কারের ৮দলীয় ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত📰‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের📰সাতক্ষীরায় দু:স্থদের খাবার বিতরণে শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী পালন📰যুক্তরাষ্ট্র দেশে পাঠালো ১০৮০ ভারতীয়কে📰বাঁচা-মরার ম্যাচে টসে হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

আদ্-দ্বীনের উদ্যোগে মুক্তেশ্বরী নদীতে সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতা

মশাল ডেস্ক
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

যশোর শহরতলীর মন্ডলগাতী-পুলেরহাট-ভাতুড়িয়া এলাকা দিয়ে বহমান মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতায় অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর বছরের বেশির ভাই সময় পানি প্রবাহ থেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নদী সংকীর্ণ এবং তলদেশে পলি জমে উঁচু হয়ে যাবার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং আশ-পাশে বসবাসরত মানুষ নদে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জমে থাকা আবদ্ধ পানিতে দুর্গন্ধ বের হয়। এতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধে প্রতিষ্ঠানটি নিজ উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করে থাকে। নদীর পঁচা কাদা তুলে নদের দু-পাড় সংস্কার করা হয়। এতে নদের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং পানি প্রবাহ ঠিক থাকে।

বর্ষা মৌসুমে আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে এই অংশে মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অংশে এসময় নদ পরিস্কার থাকায় পানি প্রবাহ মসৃণ থাকে।

নিয়মিত নিজস্ব লোকবল দিয়ে নদী পরিস্কার রাখায় হাসপাতাল অংশে শেওলা বা কচুড়িপনা জমতে পারে না। তাই মাছের অভয়ারণ্য থাকে এই অংশ। পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষ মাছ ধরে খেতে পারে।

অপরদিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তরে নদীর ভেতর সারা বছর ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকে। এছাড়া শেওলা ও কচুরিপানায় আবদ্ধ থাকে এই নদের এই অংশ। শুকনো মৌসুমে এই অংশে পানি দেখা যায় না। কিছু জায়গায় নদের তলদেশ শুকিয়ে গেছে তা সহজে বোঝা যায়। পরিস্কার না থাকায় ঐ অংশের নদীর তীব্র দুর্গন্ধ ও ময়লা আবর্জনার স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে।

পথচারী এবং নদ পাড়ের মানুষ যেনো নদের যত্রতত্র ময়লা ফেলতে না পারে সেজন্য আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্যোগে তারের বেড়া স্থাপন করেছে। এতে কিছুটা সুফল মিলছে।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সন্জয় সাহা বলেন, নদের প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে মূলত এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা এবং ঝামেলা এড়াতে আমরা নিজ উদ্যোগে জনস্বার্থে এই কাজটি করে থাকি।

৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: ইমদাদুল হক বলেন, শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমে এই নদে পানির স্রোত থাকে। স্রোতের ফলে ঐসময় নদের ময়লা আবর্জনা ও শেওলা পরিস্কার হয়ে যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে স্রোত না থাকায় জমে থাকা অল্প পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আমরা নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। এতে সাধারণ মানুষও সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, আদ্-দ্বীন হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্কার রাখি। বাহিরের অংশও একই ভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করছি। যাতে জীবাণুমুক্ত সুন্দর পরিবেশে রোগীরা সেবা নিতে পারেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd