বাংলাদেশের সংগীতের স্বর্ণালী সময়ের একজন সংগীতযোদ্ধা বলা হয় ইথুন বাবুকে। শুরুর দিকে শিল্পী হিসেবে তাকে শ্রোতারা চিনলেও পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন বাংলা গানের জগতে অন্যতম জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার। তার লেখা অসংখ্য গান সেই সময়ে আলোড়ন তুলেছে দেশব্যাপী। এখনো নিয়মিত গান করছেন তিনি। রয়েছেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসে সক্রিয়। বিএনপির রাজনীতি করায় দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি ছিলেন বিটিভির কালো তালিকায়। বিভিন্নভাবে হয়েছেন নিপীড়নের শিকার। তবুও পিছু হাঁটেননি তিনি। দীর্ঘ সংগ্রামের পর পেলেন কাঙ্খিত বিজয়।
ইথুন বাবু বলেন, মনে রাখতে হবে যে, “যে দেশে গুণীদের সম্মান দেওয়া হয় না, সে দেশে গুণী জন্মায় না।” আপনি ভাসানীকেই তো ভুলে গেছেন। আজকে আপনি ভারতের কথা বলছেন, এই ভাসানী কিন্তু এই ভারত নিয়ে বলছিল। এখন আপনি আবার ওটাই পুনরাবৃত্তি করছেন, তুলে নিয়ে আসছেন, তখন দাম দেননি। অর্থাৎ আমাদের সমস্যা হচ্ছে যে, আমরা মূল্যায়ন করি না। যদি ঠিক মূল্যায়ন না হতো, তাহলে কিন্তু আজকে দেশের সমস্যা যেত না। আমাদের জাতীয় খেলা হচ্ছে হাডুডু। খেয়াল করে দেখবেন, ‘এর পাও ও ধরবে, ওর পা এ ধরবে’, এটা আপনি লিখে রাখেন।
যেহেতু সব জায়গায় ঘটনা হচ্ছে নির্বাচনের রাস্তা, ভাসানী সাহেবকে আমরা কিন্তু, উনাদেরকে শ্রদ্ধার পাত্রে রাখতে পারিনি এখন পর্যন্ত। একটা লোকও ভাসানী নিয়ে কথা বলে না। যে লোক সব ভারত বিরোধী কথা বলে গেছিল। এখন কি উনার কথা খুলছে। ৫৪ বছর পর এসে উনাকে নিয়ে আপনার এনালাইসিস চলছে দেখেন। আজকে যে ভারত আমাদেরকে গলা চিপে ধরেছিল, এই ভাসানীই কিন্তু উত্থাপন করেছিল ওই সময় ফারাক্কা নিয়ে, আপনার মনে পড়ার কথা। আপনার বয়স কত আমি জানিনা।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো বিষয়ে, যেমন উনি বলছেন যে, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, এটার কিন্তু প্রয়োজন আছে, সবকিছু। যেমন বলেছে যে নির্বাচনের রাস্তায় যদি বাধা হয়, যে দেশে আপনি একটা করে চিন্তা করবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, মনে করেন একজন মাদক ব্যবসায়ী হচ্ছে এমপি, ওর নাম হচ্ছে বদি, কিছু করতে পারছেন ওর জন্য! করতে পারছেন!
সবাই জানে সে মাদক ব্যবসায়ী, রাজা, আপনি কোন কিছু করতে পারেননি কেন! আপনি ব্যর্থ। আবার মনে করেন যে, সরকার ওই মাদক ব্যবসায়ীকে এমপি বানিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে যখন আমরা একটু জোরদার কথা বলেছি, তারপর ওকে বসিয়ে দিয়ে ,তার বউকে দিয়ে দিছে, তুই ব্যবসা কর। এখান থেকে বেরিয়ে আসেন। না তো সামনে আরো সংকট আছে।
ছোট্ট কথা দিয়ে শেষ করি, ৫ই আগস্ট যদি না ঘটতো, এ পর্যন্ত ১০০ জনের ফাঁসি হইতো। আমাদেরকে টুকরা টুকরা করে কাটা হইতো। এই দেশটা তোমার বাপের গান লেখার জন্য!
ইথুন বাবু বলেন, উনি ববি হাজ্জাদ বসে আছে, উনারও তো কথাবার্তা আমি শুনি। উনাকেও তো মনে করেন, কলিজা টুকরা টুকরা করতো। কেউ মাফ পেতেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। যে ৫ই আগস্টটা যেভাবে হয়েছিল, হইছে। ১৫ বছর আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা ৩৯ টা গান লিখছি। ভোটের বিরুদ্ধে গান লিখছি। ভোটের বাক্সে লাত্থি মারছি।
‘ধর, ধর, ধর, ১৪ ধর, জনগণ করছে প্রতিবাদ,
দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
আমরা বলছি, আমরা যখন শুনছি, বারবার বলছি, দেশ বাপের! মোবাইল বাপের! ওর বাপের! শের বাপের! তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না।
Leave a Reply