1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
৮ ফাল্গুন, ১৪৩১
Latest Posts
📰কুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতি📰তালায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদক ও গাঁজা উদ্ধার!📰নবীন বরণ করল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাংগঠনিক থানা শাখা📰পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী📰বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর অধিভুক্ত সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন কল্যাণ সংগঠনের পরিচিতি সভা র‍্যালি,আলোচনা সভা 📰সাতক্ষীরায় বিনাহলুদ-১ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস📰কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ📰দুর্নীতি কমাতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা📰প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই মাস্কের📰বড়দলে ইউনিয়ন ভি‌ত্তিক মার্কেট লিং‌কেজ ও ভ‌্যালু চেইন নেটওয়ার্ক গঠন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

ড্রামের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে ক্যাবের মানববন্ধন

মশাল ডেস্ক
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দেশে অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ এবং ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামের
ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর
উদ্যোগে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া,
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক
যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাব
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বাহাদুর সাজেদা আক্তার ক্যাব নির্বাহী কমিটির
সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মীর রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ সাধারণ
নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সহ অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, আইন অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল
বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন,
২০১৩" এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" অনুযায়ী, সকল
ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু নন-ফুড গ্রেড
ড্রামে বাজারজাত করা খোলা অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে
নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের
উন্নয়ন এবং সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১৯-২০
অনুযায়ী ভোজ্যতেলে সরকারের ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ এর মতো পদক্ষেপের ফলে
ভিটামিন 'এ' এর ঘাটতি কমে আসলেও এখনও বাংলাদেশে ২২ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী
শিশু ভিটামিন 'এ' স্বল্পতায় ভুগছে। ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানা রোগ, চোখের শুষ্কতা
ও কর্ণিয়ার ক্ষতি, ইনফেকশন, দেহের বিকাশ বাধাগ্রর হওয়াসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা
হচ্ছে।
‘১ জুলাই ২০২১ হতে অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও ফুডগ্রেডহীন ড্রামে ভোজ্যতেল
বাজারজাতকরণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং
রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতির দরুন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে সরকার খোলা সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২২ এবং
খোলা পাম অয়েল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
উক্ত সময়ের পর শতভাগ ভোজ্যতেল ফুডগ্রেড বোতল, প্লাস্টিক ফয়েল বা পাউচপ্যাকে
বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। আইন অনুযায়ী অনিরাপদ প্যাকেজিং

অর্থাৎ ফুডগ্রেড নয় এমন উপকরণে তৈরি প্যাকেজিং-এ ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ
দণ্ডনীয় অপরাধ।’
মানববন্ধনে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩"
এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" সরকার প্রণয়ন করলেও
সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন 'মাসখানেক হলো বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে
খাচ্ছেন এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের মান একই। শুধু দামেই তফাত।' বাণিজ্য
উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ক্যাব তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেননা ইতোমধ্যে গবেষণায়
দেখা গেছে, দেশের বাজারে ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই ভিটামিন 'এ'
সমৃদ্ধ নয় এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন 'এ' নেই। বাণিজ্য
উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ভোজ্যতেল ব্যবসার সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীগণ আইন ভঙ্গ
করে অস্বাস্থ্যকর ও নন-ফুডগ্রেড খোলা ড্রামে অনিরাপদ ভোজ্যতেল বিক্রি করতে
উৎসাহিত হবেন, যা আইন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ক্যাব মনে করে।
এছাড়াও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে নন-ফুড গ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল
বাজারজাত বন্ধকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া বলেন, খোলা ভোজ্যতেলের মারাত্বক ক্ষতির কারণে তা
বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বিশেষ করে
মূল দায়িত্ব যাদের পালন করার কথা, সেই জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের
কার্যক্রম হতাশজনক। তারা রাষ্ট্রের আদেশ পালনে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
তারা অস্বাস্থ্যকর এই খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করছেও না। কিন্তু
তারা যদি না পারে, তাহলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুক। তবুও ভোক্তার অধিকার
নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হোক।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা তথা ভোক্তা
অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে নাগরিক সংগঠন ক্যাব। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই
প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
ক্যাবের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব শ‌ওকত আলী খান বলেন, বিদ্যমান আইন
লঙ্ঘন করে খোলা বাজারে নন- ফুডগ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল বিক্রয় করা হচ্ছে যা
স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং বাড়াতে
হবে। ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি
মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজারে
সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রয় করছে যা
জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরকে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় বানিজ্য
উপদেষ্টা নিজেই খোলা ড্রামে বিক্রযকৃত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কথা বলার কারণে কতিপয়
তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট
সৃষ্টি করে তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে, আমি মনে করি বানিজ্য উপদেষ্টা নিজেই
সিন্ডিকেটের সদস্য যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তেলের বাজার ক্রেতা সাধারণের
ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আসে তাহলে বানিজ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব সারোয়ার ওয়াদুদ
চৌধুরী ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য কর্নেল (অব:) ডঃ প্রকৌশলী
আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
ক্যাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা
ক্যাবের পক্ষ থেকে অনেক কষ্ট সহ্য করে ভোক্তা সাধারণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি

কিন্তু সরকার যদি জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সেটা অত্যন্ত
পরিতাপের বিষয়। অতি সম্প্রতি মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে ভোজ্যতেলের
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে খোলা তেল নন
ফুডগ্রেড ড্রামে বিক্রি করতছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আমরা মনে
করি। কারণ এই কেমিক্যাল মিশ্রিত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষ বিভিন্ন দুরারোগ্য
ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি সামনে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে
সরকার এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে
পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে করে মানুষ সুলভ মূল্যে নিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের সুযোগ
পায়।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় এবং জাতীয় ভোক্তা –
অধিকার সংরক্ষণ

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd