ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম কর্তৃক ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সু-স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সাতক্ষীরা পৌর শাখার ৯ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হইল। দলের নেতা কর্মীদের তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর কমিটির আহ্বায়ক আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

প্রসঙ্গত, ভোমরার মেসার্স মা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমির হামজার কর্মচারী শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে ভোমরায় যাচ্ছিল। শওকত আলী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং ওবায়দুল্লাহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তার পিছনে বসে ছিল।

একপর্যায় বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের আলিপুর ঢালীপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের সামনে বালির গাদার কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে শওকাতের মাথায় আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মুন্নাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা। বাকি ৪ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আমির হামজা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসময় সে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের সাথে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিকসহ পাঁচজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *