আশাশুনি উপজেলার মধ্য চাপড়ায় মূল নদী বাদ দিয়ে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় জমির উপর নিয়ে নদী খননের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙ্গন কবলিত সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে আয়ুব আলী সরদার, রফিকুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মমতাজ বেগম ও হেলেনা খাতুন। বক্তাগণ বলেন, আরএস নকশায় প্রবাহমান নদী বিদ্যমান ও সরকারী খাস জমি থাকার পরও অজ্ঞাত কারনে আমাদের ডিএস খতিয়ান, এসএ ও আরএস খতিয়ানের রেকর্ডীয় সমতল জমির মাঝখান বরাবর বর্তমান নদী খনন নকশা চূড়ান্ত করায় নদীর দুই তীরে আমাদের রেকর্ডীয় জমি বাদ পড়ায় আমরা শত শত পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। ইতিপূর্বে আমাদের বাপ-দাদার আমলে জমি ও ভিটেবাড়ী বাংতে ভাংতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বহু পরিবার বসতবাড়ি, জমি হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে ১৫০-২০০ পরিবার তাদের শেষ সম্বল রেকর্ডীয় জমিতে বসবাস করছে এবং ছোট ছোট মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে কোন রকমে সংসার নির্বাহ করছে। খেটে খাওয়া দীনমজুর শ্রেণির অসহায় পরিবারের সদস্যরা সেখানে বসবাস করছে। অথচ নদী খনন নীতিমালা বর্হিভূত প্রবাহমান নদী স্রোত অনুসরন কিম্বা মূল নদীর নকশা মোতাবেক সীমানা চিহ্নত না করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। মূল নদীর স্থান দিয়ে খনন না করে নদী খননের দূরত্ব কমাতে সাধারণ জনগনের ডিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানের দাগের উপর নদী খননের লক্ষ্যে রেকর্ডীয় জমির উপরে লাল পতাকা টানানোয় রেকর্ডীয় মালিকেদের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। নিয়ম বহির্ভুত খনন কাজ করা হলে কবর স্থান, ঘর বাড়ী, মৎস্য ঘের সহ জনসাধারনের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ডিএস রেকর্ডে ৮০০ থেকে ১১০০ ফুট পর্যন্ত নদী ছিল। সেখানে খনন না করে আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে নদী খননের পায়তারা করা হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থণা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারা নদী খনন নীতিমালা অনুসরণ করে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় মালিকের রেকর্ডীয় জমি এবং ঘরবাড়িসহ সকল সম্পদ রক্ষায় ন্যায়সঙ্গত আইনানুগ নদী খননের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।
Leave a Reply