বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার ৮নং খাজরা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছে না। একের পর এক চলছে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। মিথ্যা অভিযোগে সত্যতা পাওয়া না গেলেও চলছে একের পর এক তাকে হতে হচ্ছে ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি আওয়ামী স্বার্থান্বেষী চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম ১৪ মে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু নতুন করে পরিষদের সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর পরিবর্তে রামপদ মেম্বরকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়। জেলা প্রশাসক বরাবর ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে বাদ দিয়ে রামপদ মেম্বার কে অবৈধ ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়েছে মর্মে আবেদন করা হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিলে তিনি মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর প্রায় ৪১ দিন পর অনেক জল্পনা কল্পনার পর নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় পুনরায় সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে প্যানেল চেয়ারম্যান বহাল রেখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেখানে থেকেই সকল ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউনিয়নে নেই কোনো দুর্নীতি এমনটাই বলেছে এলাকাবাসী। পরিষদে সেবা নিতে আসা ব্যাক্তিদের লাগে না অতিরিক্ত অর্থ। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সৎভাবে পরিষদ পরিচালনার জন্য গরিব দুঃখী সর্বসাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছে তিনি। ইউনিয়ন ছাড়া ইউনিয়নের বাইরে সামাজিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে সাড়া জাগিয়ে ইউনিয়ন বাসীর কাছে। সাহায্য সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে চলেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু সাইফুল ইসলাম বাচ্চু নিজের ব্যাবহৃত ফেসবুক আইডি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু এই আইডি দিয়ে ৩০ কেজি ভিজিডির কার্ড ফ্রীতে হবে, জনগণের সামনে হবে এবং জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিয়ে করা হবে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ট্যাংকি বাবদ অফিস খরচ ১৬৫০ টাকা এর অতিরিক্ত টাকা ইউনিয়নের কোনো ব্যক্তির নিকট দিতে নিষেধ করার এমন প্রচার দিলে পরিষদের একটি স্বার্থান্বেষী আওয়ামী চক্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন তারা। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত পরিষদ পরিচালনা করা। প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার করা এবং ইউনিয়ন বাসীকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদে দৈনিক কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ এই প্রতিবেদককে জানান, আগের চেয়ারম্যান কে ইউনিয়ন পরিষদে কোনো মাসে একবারও খুঁজে পাওয়া যেতো না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত পরিষদে আসেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তি অনেক কমেছে।একটি চক্রের স্বার্থে আঘাত লাগায় মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে যা সত্য নয়। এছাড়া তিনি খাজরা ইউনিয়নের রাস্তার দুরবস্থার কারণে সন্ধ্যার পরে ইউনিয়নের মেইন পয়েন্টে নিজের ব্যাক্তিগত অফিসে ইউনিয়ন বাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বলেন আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু ফেসবুক আইডি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘোষণা দিয়ে দিই যে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো কার্যক্রমে কেউ অকারণে অর্থ দিবেন না। বিগত দিনের অন্যায় অত্যাচারকে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলো তিনি ঘোষণা দেন। কোনো ভাতা বা ভিজিডি কার্ডের জন্য অর্থ লাগবে না। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের বাছাই করে ফ্রীতে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন আমি যতদিন দায়িত্বে থাকবো কোনো অন্যায়, দুর্নীতির সাথে আপোষ করবো না। যত পারেন ষড়যন্ত্র করেন কিন্তু যতদিন এই দায়িত্বে আছি বিগত দিনের মতো কালেকশন আর করতে দেওয়া হবে না। তিনি পরিষদ সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন বাসী।
Leave a Reply