বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের উপর দাওয়াতি কাজ করা তথা আল্লাহর দিকে আহবান করা ফরজ। এটা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। তাদের মন, মগজ ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। নবী রাসূলগণ ও সাহাবা আজমাইনেরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার সকল আলম ওলামাকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শনিবার (১১নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ওলামা বিভাগের বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ড. মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালায় ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী।
দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জামায়াত বদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। কারণ ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি, সকল মতবাদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করার প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
Leave a Reply