আশাশুনি ব্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন সরেজমিনে যেয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেন এবং জমির মালিকরা সঠিক রয়েছে কিনা তার কাগজপত্র দেখেন।টেকাকাশিপুর গ্রামের আহম্মদ গাজীর ছেলে মোঃ রফিকুল গাজী টেকাকাশিপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ১৫৫ দাগের ৩৮.০৬ একর জমির মধ্যে ১৮.১০ একর জমি থেকে দখলদার কে উচ্ছেদ ও নিজ নামে একসনা পাইবার জন্য বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে সোমবার সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন ও সার্ভেয়ার এমদাদুর রহমান তারেক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করেন।এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তুহিনউল্লাহ তুহিন, মেসার্স ফারজীন আহমেদ ব্রিকস (F.A.B) এর পরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন, ডিসিআরকৃত জমির মালিক মৃত ইজার গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী, আবুল হোসেন এর ছেলে রবিউল সরদার, মৃত জব্বার গাজীর ছেলে হযরত আলী, মৃত জিন্নাত সরদারের ছেলে মোঃ বাবু সরদার, মৃত নূর ইসলামের ছেলে মাছুম মোড়ল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জমির মালিকগন জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত ডিসিআর করে ভাটায় লীজ দিয়ে এবং ঐ ভাটায় কাজ-কাম করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।ভাটার পরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, রেকর্ডীয় ব্যাক্তি মালিকানা ১৩ বিঘা ও ডিসিয়ারের জমি ১৮ বিঘা। ডিসিয়ারকৃত মালিক ৩০ জন। ২৪ সাল পর্যন্ত জমির লীজের টাকা পরিশোধ করেছি। অনেকের ২৫ সালের লীজের টাকা নেওয়া আছে এবং এই ভাটায় এলাকার ২৫০ থেকে ৩০০ জন ব্যাক্তির কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন জানান, সরেজমিনে যেয়ে ডিসিআরকৃত জমির মালিকদের সাথে কথা বলে কাগজ পত্র দেখা হয়েছে। পূর্বে যারা ডিসিআর পেয়েছিলো এবছরও তারাই পাবে।
Leave a Reply