ঢাকের তালে আর ধুপের মৌ মৌ গন্ধে মহা ধুমধামে শুরু হয়েছে দেশের সর্বজনীন উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যেক ঘরে। হিন্দু সম্প্রদায় যে সংখ্যালঘু নয় তারা যে মুসলমানের ভাই,তারা যে এ দেশের যোগ্য নাগরীক সেটা মন্দিরে গেলেই প্রমান মিলছে।
সকল ধর্মের, ধর্ণের,সব মানুষ প্রাণে প্রাণ মিশিয়ে মহা ধুমধামে পালন করছে এ উৎসব।শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ২৮ টি পূজা মন্ডপে এবছর সারদীয় দূর্গাপূজা উৎযাপিত হচ্ছে। নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে যেন হিন্দু সম্প্রদায় পুজা উৎযাপন করতে পারে সে জন্য শার্শা উপজেলা বিএনপি নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীর বলেন, শার্শা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে মন্দির ও পূজা উৎসব রক্ষায় আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেন পূজা উৎসবে কেউ না ঘটাতে পারে তার জন্য প্রত্যেক ৮ ঘন্টা পর পর ২৪ ঘন্টাই পাহারার ব্যবস্থা করেছি।প্রশাসনের পাশাপাশি তারা মন্দির পাহারায় সহযোগীতা করছে।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসন আমলে বার বার মন্দিরে হামলা হয়েছে।মূর্তী ভাঙচুর হয়েছে,হিন্দু সম্প্রদয়ের ভাইদের আহত করা হয়েছে। সেই আওয়ামী পেতাত্মারা আজও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু এ দেশের জনগন আর ঐ খুনি হাসিনার শাসন চাই না।মানুষ শান্তিতে থাকতে চাই।
বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন কালে তিনি বলেন,হিন্দু ভায়েরা অনেক শান্তিতে পূজা পালন করছে। এতটা নির্ভয়ে বিগত ১৭ বছর তারা দূর্গাপূজা পালন করতে পারিনি।শার্শা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে শার্শা বিএনপি এ অংসংগঠন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
পূজা উৎযাপন পরিষদের শার্শা উপজেলা সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রী নীল কমল সিংহ বলেন,এবার পূজায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ তৎপর, প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মন্ডপ পাহারা দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আমরা আসাকরি আগামী দিনেও এভাবে উপজেলা বিএনপি আমাদের সকল কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে জানানো হয়,সারদীয় দূর্গাউৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয় বড় উৎসব। এই উৎসব যেন যথাযথ মর্যাদায় তারা পালন করতে পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। প্রত্যেক মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল গুলো দলীয় সিদ্ধান্তে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে এ বছর দূর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে।
Leave a Reply