ছোট্ট একটি শিশু গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখে কোনো স্বাভাবিক মানুষই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওই ভিডিও ক্যাপশনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছে শিশুটি।
ছোট্ট একটি শিশু গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখে কোনো স্বাভাবিক মানুষই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওই ভিডিও ক্যাপশনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছে শিশুটি।
এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই খাবার, পানি- এমনকি বেঁচে থাকার ন্যূনতম পরিবেশ। তারপরও গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরই মধ্যে হৃদয় বিদারক ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, যেন কোনো ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে ওই নিষ্পাপ শিশু। ছোট একটি ছিদ্র দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে হাত। অবুঝ শিশুটির মুখে তখনও হাসি লেগে আছে। আর এই দৃশ্যই সবার বুকে শেলের মতো আঘাত হেনেছে। অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিও শেয়ার করেছে। তবে ফ্যাক্টচেকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নেট ঘেঁটে দেখা যায়, ভিডিওটি প্রথম আপলোড করা হয় একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে মূল ভিডিওকে ডাউনলোড করে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোস্ট করা হয়। সেখানেই দাবি করা হয়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া শিশুটি গাজার। তবে টিকটকের যে অ্যাকাউন্টে (userftdvvrl92i) ওই শিশুর ভিডিও আপলোড করা হয়, সেটি ঘেঁটে ওই শিশুর আরও ভিডিও পাওয়া যায়।
মিশর ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট আকবর মিটার বলছে, মূল ভিডিওটি শনিবার (২৬ অক্টোবর) টিকটকে পোস্ট করা হয়। সেটি ৭০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে। পরদিন শিশুটির গায়ে লাল রঙের জামা চড়িয়ে আরেকটি ভিডিও করা হয়। সেখানে আগের ভিডিও নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শিশুটির মা। তিনি জানান, শিশুটি গাজার নয় বরং সিরিয়ার। তার মেয়ে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এটা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ তার সন্তানের কিছুই হয়নি।
Leave a Reply