আশাশুনি উপজেলার খ্রীষ্টান ধর্মীয়দের প্রধান চার্চ সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের ফাদার ও নাইট গার্ডের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের বড়দল খ্রিস্টান পাড়ায়। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে খ্রিষ্টান পাড়ার সিং গোষ্টি ও আচারী গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া ও মারামারি লেগেই আছে। বড়দল গ্রামের মৃত মনো সিংয়ের পুত্র যোয়াকিম সিং ১৭ বছর যাবত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের নাইট গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে পূর্ব শত্রু তার জের ধরে মৃত গনি আচারীর ছেলে শিলবানু আচারী, জোহন আচারীর ছেলে জয় আচারী, মৃত ছহিল উদ্দিন আচারীর ছেলে যাকব আচারী, টিটু আচারী, মৃত ওলিল মন্ডলের ছেলে ইমোন মন্ডল, মৃত গনেশ মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডল সহ আচারী গোষ্ঠীর আরোও অনেকেই দলবেঁধে নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর অপসারণের দাবিতে চার্চের ভিতরে ঢুকে গেটে থাকা নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর উপর হামলা ও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী কক্ষের দিকে গিয়ে নাইট গার্ডের অপসারণের দাবি জানাতে গেলে রাতে তিনি তাদের সাথে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় এবং পরদিন সকালে আসার কথা বলায় ফাদারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।আচারী গোষ্ঠী পরদিন সকালে চার্চে আসলে আয়া স্বরসতী মন্ডল, বাবুর্চি বিনতি মন্ডল ও গিলবার্ট রায় তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদেরকে মারপিট করে চার্চ থেকে বের করে দেয়। চার্চের নাইটগার্ড যোয়াকিম সিং ও তার ভাই আলবিনো সিং জানান, আমরা সিং গোষ্টি সংখ্যায় কম হওয়ায় আচারী গোষ্ঠী আমাদের উপর বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র ও এক ঘুরে করে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী গোষ্ঠী।
এ বিষয়ে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী জানান, নাইট গার্ডের অপসারনের দাবি জানাইলে আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এঘটনায় আশাশুনিতে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার নাহিদুল ইসলাম খান ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে চার্চ পরিদর্শন করেছেন।
Leave a Reply