২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাড়ির গেট বোমা মেরে
উড়িয়ে দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, গাড়ি ও গাড়ির গ্যারেজ
ভাংচুর শেষে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের
আকবর আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ বাদি হয়ে নলতা ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকনসহ ৩১ জনের নাম
উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা
বিঘœকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন তৎসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য
আইনে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল তদন্ত করে
প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে
নির্দেশে দিয়েছেন।
মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়সহ তার ছয় ভাই, নলতা
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম পাড়, সাবেক
চেয়ারম্যান আনছার আলী বিশ্বাস ও আজাহারুল ইসলাম পাড়।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
সাড়ে চারটার দিকে সশস্ত্র আসামীরা বাদির বাড়িতে ঢুকে মহড়া
দেয়। আসামী আনিছুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে আবুল
হোসেন বাদির বাড়ির প্রবেশের মুখের গেট বোমা মেরে উড়িয়ে
দেয়। সাত থেকে ১১ নং আসামীরা মোনায়েম মাষ্টারের বালতিতে
থাকা বোমা প্রাচীরের বাইরে থেকে ভিতরে ছুঁড়ে রান্না ঘর ও
গোয়ালঘর পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। আনছার আলী
বিশ্বাস তার কাছে থাকা প্লাস্টিক বোতলের প্রেট্রোল দিয়ে ১০
লাখ ২০ হাজার টাকার মাইক্রোবাস ও আবুল হোসেন সাত লাখ ২০
হাজার টাকার প্রাইভেটকার জ্বালিয়ে দেয়। কয়েকজন আসামী
বাদির একটি মাইক্রোঘর ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। বাদি ও তার
পরিবারের সদস্যরা ভয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে আশ্রয় নেয়।
আসামীরা বাদির বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটসহ ২০
লাখ টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতি করে।
দেশে সুশাসন না থাকায় ও আসামীরা স্বৈরাচারী সরকারের দোসর
হওয়ায় বর্তমানে অনুকুল পরিবেশ পাওয়ায় মামলা করিতে বিলম্ব
হলো।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমান মামলা
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply