1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
২ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts
📰২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ📰সালমানের বাড়িতে গুলি, গ্রেপ্তার একজন📰সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যানসহ আটক পাঁচ📰সাংবাদিক আবুল কাশেমের শ্বশুরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের শোক📰আলিয়া মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীর মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা📰সাতক্ষীরা জেলা হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সদর এবং  পৌর শাখার সম্মেলন ও কমিটি গঠন 📰ভোমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে তিনঘন্টা আটক রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ; আদালতে মামলা দায়ের📰পরিবেশ অধিদপ্তর উদ্যোগে এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সভা 📰শার্শায় বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত📰পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে মতবিনিময় সভা 

আদালতে সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

২০১৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের মুকুল
হোসেনের বাড়ির ছাত্রাবাসে পুলিশের গুলিতে
ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমানের মৃত্যুু
তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর
সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী
মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে আদালতে হত্যা
মামলা

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার শহরের
কামাননগরের একটি ছাত্রবাসে ঢুকে ছাত্র শিবিরের নেতা
আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন
পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালিন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার তৎকালিন
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
নিহত আমিনুর রহমানের ভাই সিরাজুল ইসলাম(৫৪) বাদি হয়ে
সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ
মাম লা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত
অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে
গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে একজন সহকারি
পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ
কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী
মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার
কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
ইনামুল হক, সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম, উপরিদর্শক
হুমায়ুন কবীর, উপপরিদর্শক বিধান কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক

ইয়াছিন আলী, সহকারি উপপরিদর্শক লিটন বিশ্বাস, সিপাহী
জাহাঙ্গীর আলম, সিপাহী বেলায়েত হোসেন, সিপাহী জিল্লুর
রহমান, সিপাহী বাবুল হোসেন, সিপাহী ফারুখ হোসেন,
সিপাহী শেখ আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশে তৎকালিন কর্মরত
উপপরিদর্শক আব্দুল হান্নান, উপপরিদর্শক হান্নান শরীফ,
উপপরিদর্শক আবুজার গিফারী, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট
থানার সোনাপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসের ছেলে গোয়েন্দা
পুলিশে কর্মরত মোঃ আলী হোসেন, সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের
তৎকালিন সিপাহী হাবিবুর রহমান, সিপাহী রাসেল মাহমুদ,
সিপাহী ওমর ফারুক, সিপাহী আব্দুর রহমান, সিপাহী আবিদুর
রহমান, সিপাহী আসাদুজ্জামান, সিপাহী বদরুল আলম, শহরের
দক্ষিণ কামাননগরের আবুল কাশেমের ছেলে আনারুল ইসলাম রনি,
একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে এসএম ইউসুফ সুলতান ও
মোকছেদ সরদারের পালক পুত্র মোঃ বাবর আলী।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমান খুলনা ব্রজমোহন মহাবিদ্যালয়
থেকে ২০১৪ সালে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স শেষ করে সাতক্ষীরা
শহরের কামাননগর কবরস্থানের পাশে জনৈক মুকুল হোসেনের
বাড়িতে একটি ছাত্রাবাসে থাকতো। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল
দুপুরে ভাত খাওয়া চলাকালিন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী
মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশের সোর্স বাবর আলী , যুবলীগ
কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম রনি এসএম ইউসুফ সুলতান, সদর
সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ সদর থানার চারজন
উপপরিদর্শক, একজন সহকারি উপপরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী
গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক ও আট জন সিপাহী
মুকুল হোসেনের বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয়। বাড়ির গেট ধরে
ধাক্কা ধাক্কি করার একপর্যায়ে ছাত্রাবাসে থাকা আব্দুল গফুর গেট
খুলে দেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রাবাসের আটজন সদস্যকে অস্ত্রের
মুখে জিম্মি করে ফেলে। সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম
ছাত্রাবাসে থাকা আমিনুর রহমানের পিঠের বাম দিকে গুলি করে।
আমিনুর মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়েও গুলি করা হয়। একপর্য়ায়ে
অধিক রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা
কয়েকজন ছাত্র শিবিরের সাত কর্মী গুলিতে জখম হন। তাদেরকে

পুলিশের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা
হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে মটর
সাইকেল , বাই সাইকলেসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পিকআপ যোগে
থানায় নিয়ে যায়। ময়না তদন্ত শেষে আমিনুরের লাশ তার ভাই
হাবিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার তারিখে রাতে
পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত আমিনুরসহ কয়েকজন জখমীর নামে সদর
থানায় জিআর-৩২৮/১৪ ও ৩২৯/১৪ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই
সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে
মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ
হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ
আইনজীবী অ্যাড. বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গীসহ পাঁচজন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. তোজামম্মেল
হোসেন তোজাম ২৫ পুলিশ সদস্যসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে
দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd