রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা
ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামে কৃষকলীগ নেতা আবুল
কাশেমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত
আসামী সালাহউদ্দিন গাজীকে (২৫) আটক করেছে র্যাব। রবিবার
রাতে তাকে সাতক্ষীরার একটি স্থান থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত সালাহউদ্দিন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের
খোলপেটুয়া গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক সরল
বিশ্বাস জানান, অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব-৬ এর
সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব সদস্যরা রবিবার রাতে সাতক্ষীরার
একটি স্থান থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে আটক করে। পরে তাকে
পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাকে সোমবার বিকেলে আদালতে
পাঠানো হবে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টেশনে না থাকায় তার
সঙ্গে মোবাইলে পরামর্শ করে রিমা- আবেদন করা হবে কিনা তা
পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর হওয়া
আসামী আবু মুসা গাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার
কারাগার থেকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গাবুরার
চাঁদনিমুখায় বোন সেলিনার বাড়ি থেকে সালাহউদ্দিনকে আটক
করা হয়েছে রবিবার রাতে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, খোলপেটুয়া গ্রামের চিংড়ি ঘেরের
২৫ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৪ জুলাই দিবাগত
রাত ১২টা ১০ মিনিটে চিংড়ি ঘেরের ডিঙি নৌকায় স্ত্রী
ফিরোজাকে বেঁধে রেখে গাবুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি
আবুল কাশেম কাগুচীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ
ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে আবু মুসা
গাজী, লোকমান গাজী, আব্দুর রহিম, শুকুর আলী সরদার, মিজান
গাজী, সালাহউদ্দিন গাজী, সেকেন্দার গাজী ও আবু শ্যামা
গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ জুলাই
শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা(৫নং) দায়ের করেন। গত ১০ জুলাই
বুধবার মামলার প্রধান আসামী আবু মুসাসহ সন্ধিগ্ধ পাঁচ
আসামীকে নড়াইল জেলার তুলারামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়। রুধবার রাতে আবু মুসা গাজী ও জয়নালকে এলাকায় নিয়ে
মুসার বাড়ি থেকে দা, কুড়াল, বল্লভ উদ্ধার করা হয়। জয়নালের
দেখানো মতে নিহত আবুল কাশেমের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘেরের পূর্ব
দিকের বেড়িবাঁধের নদীর পাশ থেকে কেওড়া গাছের নীচে পুতে
রাখা হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মামলার
এজাহারভুক্ত অপর ছয় আসামী পলাতক রয়েছেন।#
Leave a Reply